Published : 10 Jun 2025, 10:37 PM
জাপানি শব্দ তানোশি-র বাংলা অর্থ হচ্ছে আনন্দ, ফুরফুরে ভাব। মিকাই শব্দটি চীনা চিত্রবৎ সংকেতে বিভিন্ন অর্থে লেখা যায়। একটির অর্থ হচ্ছে ‘অচেনা জগত’, ইংরেজিতে যাকে আনচার্টেড টেরিটোরি’ বলা যায়। সেই হিসেবে আনন্দের সাথে অচেনা জগতে ভ্রমণ অর্থে তানোশি-মিকাই শব্দযুগল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রসঙ্গটি জানা থাকলে একে আনন্দ-ভ্রমণ বলা যেতে পারে মনে করি।
জাপানিরা অসম্ভব কর্মঠ এবং অকল্পনীয় কর্তব্যনিষ্ঠ এক জাতি। শুধু মুখস্থ নয়, ছাত্ররা পড়াশোনা করে হৃদয়, দেহ ও মন দিয়ে। কোনো কিছু বুঝতে হবে মস্তিষ্ক দিয়ে, কিন্তু পড়াটা উপলব্ধি করতে হবে হৃদয় দিয়ে। ‘কোকোরো দে বেংকিও শিমাসো’ অর্থাৎ হৃদয় লাগিয়ে পড়াশোনা করো – জাপানি কোকোরো শব্দের অর্থ হৃদয়, বেংকিও অর্থ পড়া বা শিক্ষালাভ, শিমাস অর্থ করা। এই হলো জাপানি ছাত্রদের পড়াশোনার মূলমন্ত্র। তা না হলে শিক্ষাটা হবে অপূর্ণ, শিক্ষার ফলভোগ করার আগেই তুমি ভুলে যাবে। গবেষণায় উৎকর্ষ লাভে আমার প্রতি এই ছিল ল্যাবের জোসু ডক্টর নোবুয়োশি এসাকি-র উপদেশ। তখন মাথা ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে কয়েকবার কোকোরো অর্থাৎ হৃদয় শব্দটি উচ্চারণ করার সময় তাঁর চেহারা ও দেহভঙ্গি থেকে উপদেশটির যে গুরুত্ব অনুভব করেছিলাম পরবর্তী জীবনে আমার তা প্রভূত উপকার করেছিল। তবে বইয়ের প্রতিটি শব্দে সমান হৃদয়- বা মন-যোগ দেয়া খুব সহজ কাজ নয় তা সহজেই অনুমেয়।
কোনো কাকপক্ষীর দেখা না পেলেও সকাল সাতটার আগেই এই এসাকি সেনসয়কে ল্যাবে উপস্থিত থাকতে দেখেছি প্রতিদিন, পুরো সাড়ে তিনটি বছর। সম্মান দেখাতে এখানে সেন্সেয় (ওস্তাদ) বলছি, কিন্তু তিনি ছিলেন বন্ধুর মতো, তাঁর ইচ্ছানুযায়ী পরস্পরকে ‘সান’ বা জনাব সম্বোধন করতাম। তিনি ল্যাবে এসেই বই, খাতা, বিভিন্ন দলিলে মুখ গুঁজে বসে থাকতেন। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে আমার বা তাঁর অন্য ছাত্রদের সাথে আলোচনা করতেন। রাতে ল্যাবের প্রতিটি প্রাণি নিষ্ক্রান্ত হয়ে গেলে, রাত এগারোটার শেষ ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফিরতেন। হেঁটে এই পথটুকু যাতায়ত করা সময়ও একটি হাত দিয়ে মাথার চুল মুঠি করে ধরে চোখ দুটো মাটির দিকে স্থির রেখে গভীর চিন্তামগ্ন হয়ে থাকতেন। অধ্যাপক কেঞ্জি সোদার বৈজ্ঞানিক ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি যে প্রতিটি মুহূর্ত গভীর ধ্যান করে কাটাচ্ছেন তা বুঝতে আমার বা কারো অসুবিধা হতো না। রাতদিন এভাবে পরিশ্রম করে এসাকি সেনসেয়-র শরীর ভেঙে পড়লে তিনি হাসপাতালে স্থান নিয়েছিলেন। ডাক্তাররা এক সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দিলেও তিনদিন পরেই তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছিল ল্যাবের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে। অধ্যাপক সোদা অবসরে যাবার পর এসাকি সেনসেয় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ঠিক এমনই দেখেছি অধ্যাপক সুবুরো ফুকুই ল্যাবের সহকারী অধ্যাপক হিদেয়াকি তানাকা সেন্সেয়-কে।
ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল মিস্টার নাকামুরা নামে এক মাস্টার্স ছাত্রের ক্ষেত্রে। এমনিতেই অত্যন্ত কর্মঠ এই ছাত্রকে পরীক্ষার প্রায় একমাস আগে থেকে রাতদিন অমানুষিক পরিশ্রম করতে দেখে আমার খুব মায়া হচ্ছিল। ওকে বললাম, তুমি তো এখনও এক্সপেরিমেন্ট করা নিয়ে ব্যস্ত আছ, দাও না, আমি তোমার থিসিস টাইপের কাজটা অন্ততঃ করে দেই! কাজটি তাঁর ব্যক্তিগত, এই অজুহাতে বিনয়ের সাথে আমার প্রস্তাবটি সে প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু আমি ওর আশেপাশেই থাকলাম সারাক্ষণ, চোখে চোখে রাখি। নির্ধারিত দিনে থিসিস জমা দিয়েই দৈহিক-মানসিকভাবে কঠিন অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় সে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল! থাকতে হয়েছিল সপ্তাহাধিক কাল।
ওপরে উল্লিখিত ককোরো (হৃদয়) দে (দিয়ে) যে বেংকিও (পড়া বা শিক্ষা) শিমাস (করা) করা হয়,তা বইতে বা শিক্ষক বা ওস্তাদের মস্তিষ্কে লেখা থাকে। যা লেখা থাকে না, অর্থাৎ যে বিষয় নিয়ে কেউ চিন্তাও করেনি, অর্থাৎ অচেনা কোনো জগত সম্পর্কে সেটি কীভাবে বেংকিও (শিক্ষা) করা যায়? মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে তা অবশ্যই শিক্ষালাভ করতে হবে। যে কোনো সমস্যার সুরাহা করতে ইংরেজিতে ‘ব্রেইন স্টর্মিং’, বাংলায় যাকে ‘মাথা বা ‘মগজ ঝাঁকানো’ বলা যেতে পারে। কিন্তু লিখিত জিনিস শিখতেই যে কী পরিশ্রম করতে হয় তার সামান্য নমুনা একটু আগেই আমরা দেখেছি। এতো কষ্টের পর অলিখিত ও অশ্রুতপূর্ব কিছু বেংকিও (শিক্ষা) করতে কার ধৈর্য থাকবে?
এই সমস্যার সুরাহা করতে জাপানিরা এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে। একই সামাজিক, অর্থনৈতিক বা বৈজ্ঞানিক সমস্যা নিয়ে চিন্তা করছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমমনা তেমন কিছু চিন্তাবিদ বিশ্রামের উদ্দেশ্যে কোনো নির্জন অথচ উপভোগ্য পাহাড়চূড়ায় বা সমুদ্রসৈকতে কয়েকদিনের জন্য মিলিত হন। সেখানে দৈনন্দিন পার্থিব ঝামেলামুক্ত অবস্থায় তাঁরা খোশমেজাজে পানাহার করেন, পরস্পরের সাথে ভাবের আদানপ্রদান করেন। পানরত অবস্থায় কেউ হয়তো মুখ ফসকে উদ্ভট কিছু মন্তব্য করে ফেললেন, যা কোনো মতেই হয়তো বিজ্ঞান-মনষ্ক নয়। কিন্তু অনুসন্ধিৎসু অন্য কোনো অংশগ্রহণকারীর কাছে সেটিই মহামূল্যবান বলে ধরা দিল, যা মন্তব্যকারী হয়তো বিশেষ কিছু না ভেবেই বলেছিলেন। এভাবে দৈনন্দিন দুশ্চিন্তাহীন তানোশি (আনন্দ) করতে করতেই একটি মিকাই (অচেনা জগত) আপনাতেই এসে ধরা দিতে পারে। কাজেই বছর কয়েক পরে পরেই জাপানিরা এ ধরণের তানোশি-মিকাই এর ব্যবস্থা করে থাকে।
কিন্তু তানোশি-মিকাই এর ব্যবস্থা করলেও তা শুধুমাত্র আনন্দ-ভ্রমণেই পর্যবসিত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই অপচয়ের খরচ বহন করবে কে? তাই একে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া প্রয়োজন। আনন্দ-আয়েশে সময় কাটানোর মাঝে মাঝে আয়োজকরা তাই এক বা একাধিক গুরুগম্ভীর বক্তৃতারও ব্যবস্থা করে থাকেন। গবেষণা কাজে অর্থদাতা প্রতিষ্ঠান অথবা এই ধরনের গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো পণ্য উৎপাদনশীল কোম্পানি এই ভ্রমণের আংশিক ব্যায়ভার বহন করে থাকে। ১৯৮২ সালে আমি ‘বি-রোকু তানোশি-মিকাই’ বা ‘ভিটামিন বি-৬ এর অচেনা জগতে আনন্দ ভ্রমণ’ নামে এমনি একটি উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলাম। ভিটামিন বি-৬ বহনকারী অণুঘটক প্রাণিদেহে আমিষের সৃষ্টি ও হজমে অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করে থাকে। সোদা-ল্যাবে আমি তেমনই একটি অণুঘটক নিয়েই গবেষণা করছিলাম।
সেই তানোশি-মিকাই তে ডক্টর জেনসোনিয়াস নামে সুইজারল্যান্ডের এক বিজ্ঞানীকে তাঁর এক অসাধারণ অবদানের বক্তৃতা শোনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি ‘এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি’ নামক একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে ‘এসপারটেট এমিনোট্রান্সফারেয’ নামে ভিটামিন বি-৬ ধারণকারী একটি আমিষ বা প্রোটিন অণুঘটকের ত্রিমাত্রিক আনবিক গঠন নির্ণয় করেছিলেন। বক্তৃতার পরে পানাহারের সময় তাঁর সাথে আমার কয়েকবার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে, পদ্ধতিটির মূলেই রয়েছে আমিষ অণুর স্ফটিক বা ক্রিস্টাল বানানো, যা অত্যন্ত দুরূহ একটি কাজ। হীরক, গোমেদ, লবন বা চিনির দানাকে আমরা স্ফটিক বলে জানি। আমিষের স্ফটিক বানানোর কোনো নির্ধারিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি তখন জানা ছিল না বলে একে কেউ কেউ জাদুবিদ্যা বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাথে তুলনা করতেন। ভালো জাতের স্ফটিক বানাতে পারলে ত্রিমাত্রিক গঠন নির্ণয় অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। অণুঘটকের স্ফটিক বানানোর চ্যালেঞ্জটি তখনই আমার মাথায় স্থান করে নিয়েছিল। আমিষের ত্রিমাত্রিক আনবিক ঘঠন নির্ণয়ে জাপানে তখন পর্যন্ত এধরনের কোনো গবেষণার সূত্রপাত হয়নি। এই বক্তৃতার সূত্র ধরে ‘এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি’ সম্বলিত সর্বপ্রথম জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তামপাকু-কেন বা ‘আমিষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ গড়ে তোলা হয়েছিল। প্রায় এক দশক পর আমন্ত্রণ পেয়ে সেই গবেষণাগারে আমি একটি বক্তৃতা দিয়েছিলাম।
সেই ভিটামিন বি-৬ আনন্দ-ভ্রমণে বক্তৃতা শোনার দেড় বছরের মাথায় একটি পোস্টডক্টরালের আমন্ত্রণ পেয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ, সংক্ষেপে এনআইএইচ-এ চলে আসি। এখানে কাজ শুরু করতেই কাকতালীয়ভাবে ‘ট্রিপ্টফ্যান সিন্থেয’ নামে আরেকটি ভিটামিন বি-৬ সম্বলিত অনুঘটকের ত্রিমাত্রিক গঠন নির্ণয়ে নিয়োজিত হই। সৌভাগ্যক্রমে খুব অল্পদিনের মাঝেই আমি আমিষটির কতগুলি উন্নতমানের স্ফটিক সৃষ্টি করতে সক্ষম হই। তা থেকে ত্রিমাত্রিক গঠন নির্ণয়ের জন্য একজন এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফারকে নিয়োগ দেয়া হলো। যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা শীঘ্রই ভিটামিন বি-৬ সম্বলিত দ্বিতীয় অণুঘটকটির আণবিক গঠন নির্ণয় করেছিলাম। কাজটি এতোই নিখুঁত ও চমৎকার ছিল যে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধটি বিজ্ঞানী মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং অচিরেই কয়েকটি স্নাতকোত্তর পাঠ্যবইয়ে আনবিক গঠনের ছবিসহ অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ডক্টর জেনসোনিয়াস তাঁর গবেষণাটি কোনো প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ না করায় আমাদের ত্রিমাত্রিক আণবিক গঠনটিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তখন থেকে গাঠনিক-জৈববিজ্ঞনী (স্ট্রাকচারাল-বায়োলজিস্ট) নামেই আমার পরবর্তী পরিচয়ও পাকাপোক্ত হয়ে গিয়েছিল। আমার বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিক পরিবর্তন একটি তানোশি-মিকাই বা আনন্দ-ভ্রমণের ফলে সম্ভব হয়েছিল বললে খুব বাড়িয়ে বলা হয়তো হবে না। এরপর আমি আরো চারটি আমিষ অণুঘটকের অনেক ধরনের দৃষ্টিনন্দন স্ফটিক বানিয়ে ত্রিমাত্রিক গঠন নির্ণয় করতে সক্ষম হই। পুরনো কাগজপত্র ঘেঁটে পাওয়া স্ফটিকগুলোর একটিমাত্র ছবি এই সাথে জুড়ে দিয়েছি।
তানোশি-মিকাই ছাড়াও আনন্দ-ভ্রমণে বেরিয়ে জাপানিরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে দূরে থাকে না। ফুকুই-ল্যাবে সহকারী অধ্যাপক হিদেহিকো তানাকা সেন্সেয়র সাথে কাজ করার সময় আমি তাঁদের সাথে একবার স্কি-ভ্রমণে গিয়েছিলাম। আমাদের ল্যাবে কোনো ছাত্রী না থাকায় এক ছাত্র তাঁর চার বান্ধবীকে সাথে নিয়ে এসেছিল – বিপরীত লিঙ্গের সাথী কেউ না থাকলে কি আর আনন্দ-ভ্রমণ আনন্দের হয়! কিন্তু স্কি তো আর রাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা করা যাবে না! একনাগাড়ে বড়জোর দুই তিন ঘণ্টা করার পর সবাই শ্রান্ত হয়ে যায়। নির্জন সেই রিসর্টে বাকি সময়টা কাটাবে কী করে? সহকারী অধ্যাপক তানাকা সেন্সেয় সিদ্ধান্ত নিলেন সেই সময়টি ল্যাবের গবেষণা বিষয়ক আলোচনা করা হবে। স্কি-যাত্রার আগে প্রতিটি ছাত্র তাঁর নিজের পছন্দানুযায়ী বৈজ্ঞানিক কোনো বিষয়ের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যা যা জানা আছে, তথ্য ও ডাটাসহ সে সম্পর্কে ৮-১০ পৃষ্ঠার একটি গবেষণা-প্রবন্ধ লিখবে এবং সাথে নিয়ে যাবে। রাতদিন খেটে ল্যাবের স্বাভাবিক কাজের পর এই ব্যাপারটি শুধু শ্রম ও সময়সাপেক্ষই নয়, একটি চ্যালেঞ্জও বটে!
স্কি-রিসর্টে প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত এক অনানুষ্ঠানিক সেমিনারে সেই প্রবন্ধের কপি সবার হাতে ধরিয়ে দেয়া হবে। বক্তা সহজ ভাষায় সেই বিষয়টি সবাইকে বুঝিয়ে দেয়ার পর অধ্যাপক ও ছাত্ররা বক্তব্য সম্পর্কে একের পর এক প্রশ্ন করে যাবে। বিদেশি ছাত্রদের এই বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। আমাকে তা জানিয়ে দিলেও এই পরিত্রাণ পাওয়াকে আমি অপমাণজনক মনে করেছিলাম। ফলে আমিই সেই ল্যাবের প্রথম বিদেশি ছাত্র ছিলাম যে এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছিল।
চলবে