০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
লেখক পরিচিতি: গীতিকার, সাংবাদিক ও শিক্ষক। পাবনার মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে যদি বিজ্ঞান না থাকে, তাহলে উন্নত জাতি বা প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি গড়া সম্ভব নয়। মফস্বলে বিজ্ঞান শিক্ষার বিপর্যয় রোধে, বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের এবং উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে। শুধু শহরে নয়, মফস্বলেও বিজ্ঞান শিক্ষা জরুরি।
দেশের শিক্ষার মূল ভরকেন্দ্র এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ চরম বৈষম্যের শিকার। নামমাত্র বেতন ও অবহেলার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে, তারা টিকে আছেন এক কঠিন বাস্তবতায়।
বইয়ের পাতার বদলে চোখ আজ স্ক্রিনে, খেলার মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকে— শৈশব-কৈশোর বন্দি এখন স্মার্টফোনের গেম আর মোটরবাইকের গতি-উন্মাদনায়।
কেন শিক্ষক নকলকে প্রশ্রয় দেন? কেন তিনি ‘অনৈতিকতা’য় জড়িয়ে পড়েন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের যেতে হবে সমস্যার শেকড়ে– রাষ্ট্রের আরোপিত চাপ, বৈষম্যমূলক নীতিমালা এবং অপেশাদার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে।
সংকীর্ণ চিন্তাধারার কারণে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানের প্রকৃত মেধা ও সম্ভাবনাকে বুঝতে ব্যর্থ হন। তারা সন্তানের স্বপ্ন ও আগ্রহকে উপেক্ষা করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে জোরপূর্বক ঠেলে দেন।