Published : 08 Jun 2024, 08:59 PM
কাও ফল, ডেফল, লুকলুকির মত দেশি ফলগুলোই ছিল এবারের জাতীয় ফল মেলার বিশেষ আকর্ষণ।
আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারসের মতো জনপ্রিয় ফল ছাড়াও দেশীয় বিলুপ্ত প্রায় ও অপ্রচলিত প্রায় ৭০ প্রজাতির ফল প্রদর্শিত হয়েছে মেলায়। দেখা মিলেছে ছিল নতুন ও সম্ভাবনাময় অনেক ফলেরও।
‘ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ-স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন চত্বরে আয়োজিত মেলায় এ বছর অংশ নেয় ৮টি সরকারি ও ৫৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। স্টল ছিল ৬৩টি।
প্রতিটি স্টলেই বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফল চাষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। তিন দিনের মেলায় দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা এবং দেশি ফল কেনার সুযোগ পেয়েছে।
এ বছরের মেলার দেশীয়, বিদেশি কিন্তু দেশে উৎপাদিত, নতুন প্রজাতির ফল প্রদর্শন করা হয়। সম্ভাবনাময় সব ধরনের ফলের মধ্যে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিলুপ্ত ও অপ্রচলিত ফলগুলোকে। মেলায় প্রদর্শিত ৭০ প্রজাতির ফলের মধ্যে এমন ফলের সংখ্যাই ছিল বেশি।
কাও ফল, ডেফল, লুকলুকি, ডেউয়া, পাহাড়ি অঞ্চলের অগ্নিস্বর কলা, বরিশাল ও সুন্দরবনের গোলপাতাফল, রিঠা ফল, কেওড়া, আঁশফল, লটকন, কোকোয়া ফল, উইটে ফল, বিলাতি গাব, সানতৈল এমন অনেক ধরনের দেশীয় ফল মেলায় ঘুরে দেখার পাশাপাশি ক্রেতাদের কেনা সুযোগও পেয়েছেন।
প্রদর্শিত বিলুপ্ত ও অপ্রচলিত চাষ করা ফলের চাষি ও এলাকার নাম উল্লেখ করা হয় দর্শনার্থীদের জন্য। হারিয়ে যাওয়া দেশীয় ফলগুলোকে পরিচিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মেলার শেষ দিনে বেশি বিক্রি হয়েছে মৌসুমি ফল আম ও লিচু। দাম নিয়ে আব্দুল হামিদ নামে এক ক্রেতা বলেন, “বাইরের তুলনায় বেশি না। আম ও লিচু কিনেছি। এছাড়া ঢাকা শহরে পাওয়া যায় না এমন অনেক দেশীয় ফলও দেখলাম মেলায়।”
মেলার চাষ বিষয়ক প্রযুক্তি যান্ত্রিক খননকৃত সৌরশক্তি চালিত ডাগওয়ে প্রদর্শনও করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন। বিদ্যুৎ না থাকলে সোলার পদ্ধতিতে কীভাবে সেচ কাজ করা যায় তা দেখানো হয় এই যন্ত্রের মাধ্যমে।
শেরপুর, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশাল, পাবনা সিরাজগঞ্জের অনেক এলাকায় চালু আছ এই ডাগওয়ে।
ফলের পাশাপাশি মাসরুমের পুষ্টিগুণ ও চাষ পদ্ধতি নিয়েও স্টল ছিল মেলায়।
তিন দিনের আয়োজনের শেষ দিনে মেলাটি ঘুরে দেখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।