Published : 27 May 2025, 04:55 PM
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ তৈরি হওয়ায় চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপটি মঙ্গলবার তৈরি হয়। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড় রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। নিম্নচাপ হবে। তবে গভীর নিম্নচাপ হবে কিনা, তা সুস্পষ্ট লঘুচাপ হওয়ার পর বলা যাবে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে সিলেটে। এ ছাড়া রাঙামাটিতে ৮৫, চাঁদপুর ৬১, ফরিদপুর ৫৩, বান্দরবানে ৫২ ও চট্টগ্রামে ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর।
এদিকে সোমবার অধিদপ্তরের ‘ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায়’ বলা হয়, “সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
“ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।”
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত।