Published : 24 May 2025, 06:39 PM
দায়িত্ব পালনকে ‘অসম্ভব করে তোলা হলে’ সব কারণ ‘জনসম্মুখে তুলে ধরার’ কথা বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ''শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
“যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসম্মুখে তুলে ধরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।''
ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের পক্ষে সেনাপ্রধানের ‘দৃঢ় অবস্থান’; বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের মতভিন্নতা; সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগের ভাবনা’— সব কিছু মিলিয়ে রাজনীতিতে সৃষ্ট অস্থিরতার মধ্যে এ বক্তব্য তুলে ধরল উপদেষ্টা পরিষদ।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা হয়। সভার পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনির্ধারিত বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠকের পর বিবৃতিটি দেয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
এতে বলা হয়, “দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে দেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।”
এতে বলা হয়, “অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশা ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে— এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি মূল দায়িত্ব— সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন, কাঠামোগত সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
“এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় অযৌক্তিক দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য ও এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মসূচির মাধ্যমে যেভাবে সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ও সংশয় ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।“
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।