Published : 15 May 2025, 06:46 PM
নারীর সম-অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ডাকা ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে ৪৬টি সংগঠন।
এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, বাংলাদেশ নারী আন্দোলন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সিপিবি নারী সেল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচিতে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশ করা হয়।
সেখানে নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেন, “আমরা এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস নিয়ে এখানে বসছি। এ কর্মসূচির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এক বিশাল শ্রেণি-পেশা, চিন্তা ও রাজনৈতিক বোঝাপড়ার নারীদের আয়োজনে, নারীদের ডাকে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জুলাই পরবর্তী নারী আন্দোলনের একটি মাইলফলক ঘটনা, যখন কিনা গণঅভ্যুত্থানের অংশীদারিত্ব থেকে নারীকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।”
তিনি বলেন, “যে অর্থনৈতিক কাঠামো বিরাজমান তা থেকে মুক্তির মাধ্যমে নারী তার হিস্যা বুঝে নিতে চায়৷ আমরা প্রত্যেকেই যার যার হিস্যা বুঝে নেওয়ার তাগিদে আগামীকাল নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রায় মিলিত হব যার যার অবস্থান থেকে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান- সমস্ত শ্রেণি, পেশা, লিঙ্গ, ধর্মের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষার এ মিছিলে আপনিও যোগদান করুন।”
স্বাধীনতার আগে-পরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও আন্দোলন শেষে নারীর প্রকৃত মূল্যায়ন করা হয়নি বলে মনে করেন সীমা দত্ত।
তিনি বলেন, “জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে নারীরা প্রথম সারির যোদ্ধা হলেও অভ্যুত্থান পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নারীদের ওপর আঘাত করা শুরু হয়েছে৷ রংপুর, জয়পুরহাট, দিনাজপুরে নারীদের ফুটবল খেলা বন্ধ করার জন্য তৌহিদি জনতার ব্যানারে মব আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে৷ যদিও সরকার কয়েকটি স্থানে পুনরায় ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিল, কিন্তু মব আক্রমণকারীদের কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।”
নারীর প্রতি সংহিসতার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “রমজানের ঠিক আগে লালমাটিয়ায় দুই তরুণীর ওপর মব হামলা হলেও মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নারীর প্রতি সহিংসতার সব ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি।”