Published : 16 Jun 2025, 09:08 PM
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র হবে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনাগুলোর ছোটখাটো সংস্কার ও হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের প্রধানদের চিঠি দিয়ে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, অতীতে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছে এবং সামনে হতে পারে এমন স্থাপনাগুলোর তথ্য চেয়েছে সংশ্লিষ্টদের এই চিঠি দেওয়া হয়েছে
এবার নির্বাচনে প্রায় সাড়ে ১২ কোটির মত ভোটার হতে পারে। ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালাও অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
ইসির উপ-সচিব দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দরজা জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে।
যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছোট খাট মেরামত/সংস্কার প্রয়োজন তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।
এ অবস্থায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হতে পারে–এমন স্থাপনাগুলোর সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য প্রয়োজন জানিয়ে সেসব তথ্য ১৭ জুলাই এর মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সবশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল। ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গড়ে ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোট কেন্দ্র, গড়ে ৫০০ জন পুরুষ ও ৪০০ জন নারী ভোটারের জন্য একটি ভোট কক্ষ নির্ধারণ করা হয়।
এবার সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এগিয়ে রাখছে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন রোববার বলেছেন, “ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলের হোক- জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আগে আমাদের বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে জুন, আমরা সে সময় মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ও এগিয়ে যাচ্ছি।”
পুরনো খবর
নির্বাচন: খসড়া আচরণবিধি ও ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালায় ইসির অনুমোদন
নির্বাচনি সামগ্রী কেনাকাটায় তিন থেকে চার মাস লাগবে: ইসি সচিব
একাদশের চেয়ে দ্বাদশে ভোট কেন্দ্র ৫% বাড়ছে
প্রস্তুতি শেষ হলে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে: ইউনূস-তারেক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণা