Published : 26 May 2025, 01:27 AM
হঠাৎ তৈরি হওয়া অস্থিরতা কাটাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের দ্বিতীয় দিনেও ঘুরেফিরে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ, সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐক্যের কথাই এসেছে।
ঐক্যের বিষয়ে কারো দ্বিমত না থাকলেও নির্বাচনের পথনকশার বিষয়ে দলগুলো তাগিদ দিয়েছে, সেখানে কেউ ডিসেম্বর, কেউ এপ্রিল আর কেউ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার কথা বলেছেন।
তবে সরকারের তরফে আগের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ‘কোনোভাবেই নির্বাচন ৩০ জুনের পরে যাবে না’।
রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে প্রথম দফায় ১১টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৯টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ২০ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা আলোচনা ও পরামর্শ ছিল মিশ্র। তবে, রাজনৈতিক ঐক্যের প্রশ্নে সব দলই একই সুরে কথা বলেছে।
ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনে গত বছর ৫ অগাস্ট সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার তিন দিন পর ৮ অগাস্ট নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
সম্প্রতি বিএনপি ও এনসিপি পাল্টাপাল্টি করে কয়েকজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। বুধবার সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি দুই ছাত্র উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে সরকারের প্রতি সমর্থন তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে সে দিন প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশের’ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়।
এই অস্থিরতা কাটাতে শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও শিক্ষার্থীদের নেতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সঙ্গে তিন দফায় আলাদাভাবে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
সে বৈঠকে নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে তিন দলই নিজেদের আগের অবস্থান তুলে ধরেছে। তবে প্রধান উপদেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছে দলগুলো।
তারই ধারাবাহিকতায় রোববার দুই দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে তাগিদ, নানা প্রস্তাব
দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।
তিনি বলেন, “নির্বাচন এত সহসা ঘোষণা দেওয়া সম্ভব না কারণ হচ্ছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন যে যন্ত্রগুলো আছে সেগুলো এখনো পরিপূর্ণভাবে কার্যকর নয়।
“এবি পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাব করেছি, নির্বাচনটাকে একটা সুবিধাজনক জায়গায় নিতে হবে আর যথাসম্ভব নির্বাচন নিয়ে একটা রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য বলেছি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি নির্বাচন করা যায় তাহলে এটা সুন্দর সময় হবে।”
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমরা তাকে (প্রধান উপদেষ্টা) বুঝিয়েছি আপনার বেশি করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করতে হবে, কথা বলতে হবে, মতবিনিময় করতে হবে।”
“আপনি কেমন করে নির্বাচন করতে চান তা সকলের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আপনার সে ক্ষেত্রে দেখতে হবে কোনটা সংস্কার করলেই না। করতে যান সে ক্ষেত্রে যদি সময় ক্ষেপণ হয় নির্বাচন বিলম্ব হবে-আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে এপ্রিলের পর কোন ভাবেই আর সময় গড়াবে না।
“উনি বলেছেন যে আমি কোনোভাবেই চাই না আমার ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করতে। উনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় আর বাড়াতে চান না।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলেছি আপনাদের তিনটি মোটাদাগের কাজ; বর্তমানে যে বিচারটা চলছে সেটাকে স্বল্প সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান করুন।
“সংস্কারের যে তৎপরতা চলছে, যেখানে বৃহত্তর ঐক্যমত আছে, আলোচনা করে যেগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন সেগুলো করে ফেলবেন। বাকি সংস্কার সবার সঙ্গে আলোচনা করে রাখবেন, যা পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার করবে।
“রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যদি বোঝাপড়া থাকে তাহলে নির্বাচন ৩১ ডিসেম্বরের পরেও করা যাবে।”
জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস বলেন, “উনি (প্রধান উপদেষ্টা) রাজনৈতিক মহলের চাপের কারণে কিছুটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে উনি যখন পদত্যাগের কথা বলেছেন, তখন সবাই ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। আমরা ওনাকে এটা বলার চেষ্টা করেছি, ডিসেম্বর না হলেও ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দেওয়া ভালো।”
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, “আমরা তাকে বলেছি আপনার দায়িত্ব শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। তবে উনি ভয় পাচ্ছেন কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আমরা তাকে বলেছি, আপনার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে প্রশাসনকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
“আমরা এও আশ্বস্ত করেছি, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাহলে আপনি, প্রশাসনসহ সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেটা আমরা আপনাকে করব।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “নির্বাচনের বিষয়ে সরকার বলেছেন যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে। তবে আমরা বলেছি এ বিষয়ে যদি একটি সুনির্দিষ্ট সময় বলা যায় তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো একটি প্রস্তুতি নিতে পারবে। এছাড়া অনেকে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে, নির্বাচনের যদি একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ না থাকে তাহলে সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
“ওনারা বারবার বলেছেন যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হবে, এর একদিনও বাইরে যাবে না।”
ইসলামিক দলগুলো যা বলছে
নির্বাচনের বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ইসলামিক দলগুলোও।
এদিন দ্বিতীয় দফায় বৈঠক শেষে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ক খোলামেলা কথা বলেছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি অনেক আশা ভরসা নিয়ে জাতি আপনাকে এখানে বসিয়েছে। আপনি সকল চক্রান্ত রুখে দিয়ে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। আপনি কোনো রকম ধৈর্য হারা হবেন না। আমরা সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বস্ত করছি।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি, যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার না হয়, তাহলে সামনে যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেখানে কালো টাকার সহ বেশি শক্তির কারণে নির্বাচনটা প্রভাবিত হবে। ফলে আগের যে কলঙ্কিত নির্বাচনের ইতিহাস, সেটা ফিরে আসবে। এটা পুনরায় হোক তা আমরা চাই না। যে কারণে আমরা বলছি সংস্কার হোক।
“আমরা বলেছি যদি স্থানীয় নির্বাচন আগে হয় সেখানে যেন কালো টাকা এবং পেশি শক্তির প্রভাব না থাকে সেই বিষয়ে আপনারা দৃষ্টি রাখেন।”
তিনি বলেন, “এখানে নির্বাচনের বিষয়ে কেউ দাবি করছেন ডিসেম্বর, কেউ বলছে মার্চ, তবে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ২০২৬ সালের জুনের ৩০ তারিখের পরে তাদের কেউ থাকবেন না। ওনার সঙ্গে কথা বলে আমাদের ভেতর যে একটা ভয় ছিল তা কেটে গেছে।”
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমরা সকলে যদি ওনাকে সহযোগিতা করি তাহলে উনি দেশ ও জাতিকে একটা গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে উনার দায়িত্ব শেষ করবেন।
“পাশাপাশি দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলের সকলের কাছে তিনি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান। উনি আমাদের কঠিনভাবে ব্যক্ত করেছেন ২০২৬ সালের জুনের ৩০ তারিখের পর এক ঘন্টাও উনি ক্ষমতায় থাকবেন না এর আগেই তিনি নির্বাচন শেষ করবেন।”
সংস্কার আর করিডোর নিয়েও আলোচনা
বৈঠকে রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়েও আলোচনা তুলেছেন রাজনৈতিক নেতাদের কেউ-কেউ।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, “করিডরের বিষয়ে আমরা সরকারকে বর্তমানে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। নির্বাচনের রোডম্যাপ এর বিষয়ে সরকার যেটা বলেছে, ডিসেম্বর থেকে জুন সেটা অস্পষ্ট বিষয়।
“এ সময়ের মধ্যে রোজা আসবে ঈদ আসবে ইজতেমা আসবে। তাই আমরা বলেছি আপনি একটি সুনির্দিষ্ট মাসের কথা বলেন যেই মাসে নির্বাচন হবে। আমরা রাজনৈতিক যে দলগুলো আছি, তারা সকল বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করব।”
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি জুলাই আন্দোলনের চেতনা নস্যাৎ করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা এটাও বলেছি যে, জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে যদি আমরা সংস্কার কাজে এগিয়ে নিয়ে যায় তাহলে সেটাই হবে আসল সংস্কার। আমরা যে সব সংস্কার করতে পারব, এরকম ধারণা আমাদের মধ্যে না থাকাই উচিত।”
মামুনুল হক বলেন, “করিডোরের বিষয়ে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন, দেশবিরোধী কোনো কার্যক্রম তার দ্বারা সংঘটিত হবে না। উনি এ বিষয়ে তার ওপর বিশ্বাস রাখতে বলেছেন। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তাহলে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ-আলোচনা করেই তা করা হবে।”
নির্বাচন ৩০ জুনের মধ্যেই
বিভিন্ন সরকার প্রধান উপদেষ্টার তরফে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। সংস্কার কম হলে ডিসেম্বরের মধ্যে আর পুরো সংস্কার হলে জুনের মধ্যে নির্বাচনের ধারণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপিসহ কয়েকটি দল প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গ বৈঠকেও তারা বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পথনকশার জোরাল দাবি জানিয়েছে।
রোববার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আবারও বলেছেন, জনগণ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেখতে পাবে, এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
তার আগে এপ্রিলেও পথনকশার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক দফা বৈঠক করেছে দলটি।
জামায়াতে ইসলামী সংস্কার শেষে নির্বাচনের কথা বলছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দলটি সংস্কার ও নির্বাচনের পথনকশা চেয়েছে।
অন্যদিকে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত এনসিপি, সংস্কার, গণপরিষদ নির্বাচন, জুলাই ঘোষণাপত্র, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
দ্বিতীয় দিনের বৈঠকেও দলগুলোর পক্ষ থেকে ঘুরেফিরে নির্বাচন, সংস্কারের কথা এসেছে।
বৈঠকের পর সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, যে দলগুলোর নেতারা আসছেন তারা স্যারকে ( ইউনূস) সমর্থন জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন কার্যক্রমে সমর্থন জানিয়েছে। তারা সরকারের সঙ্গে থাকবে। আজকে দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন, সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন করবেন। ৩০ জুনের পরে যাবে না। এতে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।”
নির্বাচনের পথনকশা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “স্যার একটা ডেডলাইন দিয়েছেন, সেটা নিয়ে বার বার বলেছি। গতকালকেও বলেছি, আজও বলছি। উনি এক কথার মানুষ। নির্বাচন জুনের মধ্যেই হবে। উনাকে বিশ্বাস করতে হবে। যখন সময় হবে, তখন তিনি রোডম্যাপ ও শিডিউল ঘোষণা দেবেন।”
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্ধৃত করে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “তিনি বলেছেন, আমরা বড় যুদ্ধ অবস্থার ভিতরে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পরে, দেশকে যতরকমভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এটা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। বিভাজন থেকে উদ্ধার পেতে হবে। ঐকমত্য থাকতে হবে। আত্নমর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে যতটুকু দাঁড়াতে পেরেছি, এটা যেন সামনের দিকে যায়।”
দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে আরও যারা ছিলেন
দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে প্রথম দফায় নেতাদের মধ্যে আরও ছিলেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাবেক আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে অংশ নেওয়া ৯ জনের মধ্যে ছিলেন ইসলামি বক্তা সাদিকুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।