Published : 27 May 2025, 07:08 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন ব্যবসায়ীকে একদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজা মঙ্গলবার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- নজরুল ইসলাম মিলন, মো. চুন্নু মিয়া এবং নাজমুল।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. সজিব মিয়া তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন৷
চুন্নু মিয়া ও নাজমুলের পক্ষে হাবিব উল্লাহ চৌধুরী এবং নজরুল ইসলামের পক্ষে তারেক হোসেন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিউমার্কেট থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই সাইফুল ইসলাম রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে নজরুল ইসলামকে চাঁদনী চক এলাকা থেকে, অন্য দুই জনকে বিডিআর এক নম্বর গেট এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্সে সোমবার রাতে দোকানিদের হাতে মারধরের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ সেশনের ছাত্র শাহেদুল ইসলাম ও আয়াজুর রহমান।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ‘জেসমিন ফেব্রিকস’ নামের একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
পরে আহত দুজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে সেবা দেওয়া হয়।
টনার বর্ণনায় একই সেশনের শিক্ষার্থী ফারহান বলেন, “আমি, শাহেদুল, আয়াজ এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের এক আপু ওই দোকানে কাপড় কিনতে যাই। কাপড় দামাদামি করার একপর্যায়ে দোকানির দাবি করা দাম দিতে আমরা রাজি না হলে তারা আপুর উদ্দেশে অরুচিকর মন্তব্যের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করে।
“তখন আমরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দোকানের ম্যানেজার ও আশপাশের দোকানদাররা মিলে আমাদের চোর সম্বোধন করে আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
ফারহান বলেন, এ সময় মাথায় ও পায়ে আঘাত পেয়ে শাহেদুল ও আয়াজ গুরুতর আহত হন। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীসহ সতীর্থরা নিউ মার্কেট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান।
এ ঘটনায় রাতেই নিউ মার্কেট থানায় মামলা করেছেন শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম।