Published : 21 May 2025, 12:24 AM
টিএনজেডের কারখানা ও মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করার কথা বলেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
মন্ত্রণালয় বলছে, টিএনজেড গ্রুপের ওয়াশিং প্লান্ট ও মহাখালীর ডিওএইচএসে মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করা হবে।
শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সংশ্লিষ্ট সবাই ঐকমত্য হওয়ায় শ্রমিক নেতারা শ্রম ভবন ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, টিএনজেডের মালিক বর্তমানে বিদেশে থাকায় তাকে দেশে আনার জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে টিএনজেডের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
টিএনজেডের পরিচালক ও ফিন্যান্স অফিসার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের হেফাজতে থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
বকেয়া পরিশোধের দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে পল্টনের শ্রম ভবন থেকে মিছিল নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের ‘মার্চ টু যমুনা’ রওনা হয়ে কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন সংলগ্ন মোড়ে পৌঁছালে আটকে দেয় পুলিশ।
শ্রমিকদের পরে সেখানকার সড়কেই বসে পড়ার তথ্য দেন ডিএমপি ট্রাফিক রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান খান।
তিনি বলেন, “পুলিশের বাধা পেয়ে তারা সড়কে বসে পড়েছে। এতে মৎস্যভবন থেকে কাকরাইলগামী যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে কাকরাইল থেকে মৎস্যভবনগামী যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ভাষ্য, তারা গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের আটটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তাদের ১৪ মাস ধরে বেতন ও অন্যান্য পাওনা বকেয়া রয়েছে।
শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে কাকরাইলে অবস্থান নিয়েছিলেন বামপন্থি কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।