Published : 19 Mar 2025, 10:10 PM
লিখিত পরীক্ষায় তাদের হয়ে (প্রক্সি-অন্যের হয়ে পরীক্ষা) বসেছিলেন অন্যরা। সেই পরীক্ষায় টিকে যাওয়ায় ভাইভা দিতে এসেছিলেন মূল প্রার্থী। সেখানে সন্দেহ হলে দুইজনকে আটকে পুলিশে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বিমানের ‘গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট' পদে নিয়োগের এ ঘটনায় দুই প্রার্থী ও প্রক্সি দেওয়া দুইজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
বিমানের পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
এর মধ্যে বুধবার ভাইভ দিতে এসে আটক হওয়া পরীক্ষার্থীর নাম চাঁদ মোহন মণ্ডল। ৩০ বছর বয়সী এ প্রার্থীর বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার পাঁচ পোটারা গ্রামে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিমানের প্রধান কার্যালয়-বলাকা ভবনের তৃতীয় তলার সম্মেলন কক্ষে ওই নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন চাঁদ মোহনকে সন্দেহজনক মনে হলে বোর্ডের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পরে তিনি স্বীকার করেন লিখিত পরীক্ষায় তিনি অংশ নেননি। তার বদলে মো. রাকিবুল ইসলাম নামে আরেকজন লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দেন। এজন্য রাকিবুলকে দুই লাখ টাকা দেন তিনি
পরে বিমান কর্তৃপক্ষ চাঁদ মোহনকে আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশে দেয় এবং ওই দুইজনের নামে মামলা দায়ের করে।
এর আগে মঙ্গলবার একই পদে একই স্থানে পরীক্ষা চলাকালীন মো. আনাম আলী নামে আরেকজনকে একই অপরাধে আটক করে পুলিশে দেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। পরে এ ঘট্নায় প্রক্সিদাতা আজিমুদ্দিনসহ তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাইভায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আনাম বলেন আজিমুদ্দিন নামে আরেকজন তার হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
বিমান বলছে, কর্তৃপক্ষ আশংকা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিমানের বিভিন্ন পদে নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং এসব ব্যক্তি ওই চক্রের সদস্য।
আরও পড়ুন:
বিমানে নিয়োগ: টাকাসহ 'প্রক্সি পরীক্ষার্থী'কে আটকের পর মামলা
বিমানে নিয়োগ: ভাইভায় 'প্রক্সি' দিতে গিয়ে ধরা