Published : 25 May 2025, 04:14 PM
‘মিথ্যা অভিযোগে’ মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘হয়রানির’ অভিযোগে দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হারুন অর রশিদ নামে এক ব্যক্তি মামলার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- দুদকের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসান মনজুর এবং সাবেক সচিব মোখলেছ উর রহমান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হোসেন আলী খান হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
হারুন অর রশিদ ১৮ মে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রোববার দিন রেখেছিলেন। এদিন শুনানি নিয়ে আদালত পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিল।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরাসহ অচেনা ব্যক্তিরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার আগে ‘মিথ্যা অভিযোগ সৃজনে’ যে পরিকল্পনা, বৈঠক ও ষড়যন্ত্র করেছেন, তা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হয় ২০১৮ সালে। সে বছর ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কোভিড মহামারী শুরু হলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল খালেদা জিয়াকে। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছিল।
গত ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন
এ দুটি মামলা ছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ও এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা করা হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছিল সে সময়।