Published : 26 Mar 2025, 06:27 PM
বৈষম্য কমিয়ে আনতে না পারলে দেশে দীর্ঘদিনের জন্য শান্তি আশা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেছেন, “যতক্ষণ না আমরা আমাদের এই বৈষম্য কমিয়ে আনতে না পারছি, যতক্ষণ না আমরা আমাদের আদর্শ যেটা স্বাধীনতার প্রোক্লেমেনেশনে আছে, সংবিধানে রয়েছে সবার জন্য মৌলিক চাহিদাগুলো অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা দেশে দীর্ঘদিনের জন্য শান্তি আশা করতে পারি না।
“ফলে আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য হচ্ছে নিজের অবস্থান থেকে সেটার জন্য কাজ করে যাওয়া। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই সেটা প্রয়োজন।”
বুধবার রাজধানীর মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেন অধ্যাপক বিধান।
উপদেষ্টা বলেন, “এবার আন্দোলন শুরু হয়েছিল কোটা নিয়ে। সেটি কিন্তু এক অর্থে অনেকটা সংকীর্ণ একটা আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে কোটা! সরকারি চাকরি কতগুলি আছে? কোটায় কয়জন সুবিধা পাবে? টোটাল পদতো আর বেড়ে গেল না! কিন্তু এটা ঠিক যারা আন্দোলন করলেন তাদেরকে বাধ্য করল বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
“অন্য মানুষ আন্দোলনে যোগ দিলেন কেন? তারা কিন্তু কোটার জন্য আন্দোলনে যোগ দেন নাই। তারা বৃহত্তর প্রেক্ষিতে যোগ দিলেন। কারণ তারা সেই শাসনে অতিষ্ঠ ছিলেন, অসন্তুষ্ট ছিলেন। সেজন্যই যোগ দিলেন। তারা মনে করলেন, আমাদের এই অবস্থার পরিবর্তন করবে। আমরাও একটু শান্তিপূর্ণ সুখী জীবন যাপন করতে পারব। এজন্যই মানুষ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।”
শিশুকে সাক্ষর করে তোলা প্রকৃত অর্থে তাকে সক্ষম করে তোলা মন্তব্য করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “তাহলে এক ধরনের সোশাল মবিলিটি হবে। এটা ঠিক, বেশিরভাগ সময় হয়তো সে তারটাই বুঝবে কিন্তু যখন তার পথ অবরুদ্ধ হবে, তখন সে বাধ্য হবে সবার জন্য আপগ্রেড করতে।
“আমরা যদি আমাদের শিশুদের সক্ষম করে তুলতে পারি-দেখা যাবে সেটা সামাজিক পরিবর্তনের সহায়ক হয়ে উঠবে।”
সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) আতিকুর রহমান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) দেবব্রত চক্রবর্তী, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক সুরাইয়া খান এবং পিটিআই ইন্সট্রাক্টর আবু বকর সিদ্দিক।