Published : 01 Jun 2025, 06:33 PM
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের মহাপরিচালক আকতার হোসেন মামলার দায়েরের বিষয়টি জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি দুর্নীতির মাধ্যমে ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা ও ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ ডলার লেনদেন করেছেন। এই লেনদেনকে অস্বাভাবিক বলছে দুদক।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
খন্দকার মোশাররফের ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী। ওই সম্পর্কের টানাপড়েনে খন্দকার মোশাররফের পদপদীতেও প্রভাব পড়ে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকেও। তখন থেকেই তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোশাররফ ও তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়।
খন্দকার মোশাররফ ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদে প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পেয়েছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের; পরে তাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ওই সময়ই ফরিদপুরের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন মোশাররফ। ২০১৫ সালে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে তাকে আর মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি।