Published : 15 May 2025, 11:41 PM
প্রাণ-প্রকৃতির সুরক্ষায় বায়ুদূষণ রোধ করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জ্বালানি নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করেছে ‘বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র’ (ক্যাপস), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ও ‘সেন্টার ফর পারটিসিপেটোরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি)।
রাজধানীতে বিআইপির কনফারেন্স হলে বৃহস্পতিবার সকালে তিন সংস্থা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয় বলে ক্যাপসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, “এই মুহূর্তে প্রয়োজন একটি বাস্তবমুখী জ্বালানি পরিকল্পনা, নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায় (২০২২) বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে নিঃসরিত বায়ুদূষক নিয়ন্ত্রণে কঠোর মানদণ্ড। অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বসহ জবাবদিহিতা ও শক্তিশালী প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
“নির্মল বায়ু কোনো বিলাসিতা নয়। এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। জ্বালানি নীতি কেবল মেগাওয়াটের হিসাব নয়, এর উপর নির্ভর করছে মানব স্বাস্থ্য, প্রাণ প্রকৃতির সুরক্ষা ও সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ।”
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুর রহমান বলেন, “গ্রিন ডেভেলপমেন্টের জন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অনেক জরুরি। আমাদের অনেক আইন ও নীতিমালা আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই, এগুলো বাস্তবায়ন করতে আমাদের উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে টুলস ডেভলপমেন্ট করতে। পাশাপাশি গ্রিন ফাইন্যান্স, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয় বাড়াতে হবে। সম্প্রতি সরকার এনডিসিসহ অন্যান্য পলিসিগুলোকে রিভিশনের উদ্যোগ নিয়েছে।”
সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, “আমরা যখন পলিসি প্রণয়ন করি তা শুধু আমাদের দেশের একক চিন্তা করে নয়, এটি বৈশ্বিক উন্নয়নের সংজ্ঞার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা উচিত। উন্নয়ন পরিকল্পনা করার সময় নীতিনির্ধারকরা পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের বিষয়টি উপেক্ষা করেন। প্যারিস চুক্তির শর্ত পূরণের জন্য আমাদেরকে ২০৫০ সালের মধ্যে নেট জিরো ইমিশনে যেতে হবে, যা আমাদের জ্বালানি নীতিতে অনুপস্থিত।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এম সফিউর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বিআইপির উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান, সিইআরয়ের পরিচালক মো. শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি ও ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জের ডেপুটি হেড নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, ইউএনডিপি বাংলাদেশের গ্রিন গ্রোথ প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট জ্যাকব ফার্ডিনান্ড বক্তব্য দেন।