Published : 31 May 2025, 01:17 PM
তামাক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর ‘কূটকৌশল’ উন্মোচন করার আহ্বানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস।
১৯৮৭ সালের ৩১ মে দিবসটি ঘোষণার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো তা পালন করে আসছে।
বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিন মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো বলছে তামাক কোম্পানির কূটকৌশলের অংশ হিসাবে তাদের এখন প্রধান লক্ষ্য নতুন প্রজন্মের দিকে। এই নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করাই এখন চ্যালেঞ্জ।
তামাকবিরোধী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান- প্রজ্ঞা বলছে, তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর বিশ্বের অন্তত ৮০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। ২০২৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুঝুঁকির কারণ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তামাক। বর্তমানে বিশ্বের মোট ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন তামাক ব্যবহারকারীর ৮০ শতাংশই বসবাস করে নিম্ন ও মধ্য-আয়ের দেশগুলোতে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় তামাক।
প্রজ্ঞা জানায়, উদ্ভাবনী বিজ্ঞাপন এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনে নিত্য নতুন পণ্য বাজারজাতকরণসহ নানা কৌশল অবলম্বন করে কোম্পানিগুলো।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ই-সিগারেটর বিজ্ঞাপনে ৪৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হওয়ার তথ্য দিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০১৮ সালে এই ব্যয় বেড়ে ১১০ মিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়ায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময়ে মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে দেশটিতে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহার ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় অঞ্চলে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহারের হার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, অথচ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই হার মাত্র ২ শতাংশ।
বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশই তরুণ-তরুণী। এদেরই এখন মূল টার্গেট তামাক কোম্পানির মনে করে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো।
আর এ জন্য তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপমুক্ত করতে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চূড়ান্তকরণ করার মাধ্যমে বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, 'ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান' বিলুপ্ত, ই-সিগারেটসহ সকল ভ্যাপিংপণ্য নিষিদ্ধ এবং তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ করা, সিগারেটের সহজলভ্যতা কমাতে মূল্যস্তর ৪টি থেকে ৩টিতে নামিয়ে আনার কথা বলছে তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা।