Published : 12 Jun 2025, 03:05 PM
দুই সপ্তাহের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী শনিবার থেকে হাসপাতালের কার্যক্রম পুরোদমে শুরুর আশা করছেন তারা।
“আজ আউটডোর এবং ইমারজেন্সি চালু আছে। আমাদের ইচ্ছা শনিবার থেকে হাসপাতাল ফুল সুইংয়ে চলবে- তারা (জুলাইযোদ্ধা) যদি কোনো বাধা সৃষ্টি না করে।”
গত ২৮ মে হাসপাতালের কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাইযোদ্ধা এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা। এরপর থেকে নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালে আসা বন্ধ রাখেন চিকিৎসক, কর্মচারীরা। ফলে চক্ষু চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তবে গত ৪ জুন ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু হয়।
এক প্রশ্নের উত্তরে খায়ের আহমেদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেন, “পুলিশ ফোর্স কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। কারণ ডাক্তার-নার্সরা যেন নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে। তাদের মধ্যে যেন কোনো ভয় কাজ না করে।”
হাসপাতাল পরিচালক খায়ের বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের বিষয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ বোর্ড হাসপাতালে থাকা ৫৪ জনের অ্যাসেসমেন্ট করার জন্য ডেকেছিল। তাদের মধ্যে ৩০ জন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছে, ২০ জন আসেনি।
“৩০ জনকে দেখে বোর্ড বলেছে, ছাড়পত্র দেওয়া যাবে। ৪-৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন আছে, তাদের অন্য হাসপাতালে শিফট করতে বলেছে। পরবর্তীতে যদি তারা ফলোআপে আসতে চায়, মেডিকেল কলেজগুলো তাদের চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে রেফার করবে। এদের কারোই এখন এখানে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন নাই।”
হাসপাতাল তাদের ছাড়পত্র দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক খায়ের বলেন, “তাদেরকে ঈদের আগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। তারা নেয়নি। কাউকে না বলে ঈদের ছুটিতে বাড়ি চলে যায়। বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে ৬ জন অবস্থান করছিল, তাদেরও থাকার দরকার নাই।"