জাটকা নিধন বন্ধে ৫৮ হাজার টন চাল বরাদ্দ

আগামী বছর জাটকা আহরণে বিরত রাখতে দেশের সাড়ে তিন লাখের বেশি জেলে পরিবারের জন্য ৫৭ হাজার ৭৩৯ দশমিক ৪ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।

জেলেদের জন্য সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালে দেশের ২০ জেলার জাটকা সম্পৃক্ত ৯৭টি উপজেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯টি জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ফেব্রুয়ারি থেকে মে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার মাসের জন্য নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে চাল দেওয়া হবে।

গত সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি প্রদান করেছে। আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে ভিজিএফের চাল উত্তোলন ও বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উপকারভোগী উপজেলা

যেসব উপজেলায় ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ; মানিকগঞ্জের শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর; মুন্সীগঞ্জের সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টঙ্গিবাড়ী ও গজারিয়া; ফরিদপুরের সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন; রাজবাড়ীর সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ; শরীয়তপুরের জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট; মাদারীপুরের সদর, কালকিনি ও শিবচর; চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, মীরসরাই ও চট্টগ্রাম মহানগর; ফেনীর সোনাগাজী; নোয়াখালীর সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ; লক্ষ্মীপুরের সদর, রামগতি, রায়পুর ও কমলনগর; চাঁদপুরের সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ; বাগেরহাটের সদর, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, চিতলমারী, শরণখোলা ও কচুয়া; সিরাজগঞ্জের সদর, চৌহালি, বেলকুচি, কাজীপুর ও শাহজাদপুর; বরিশালের সদর, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুরের সদর, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী ও কাউখালী; পটুয়াখালীর সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা ও দুমকি; ভোলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন ও মনপুরা; বরগুনার সদর, আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী এবং ঝালকাঠির সদর, কাঠালিয়া, নলছিটি ও রাজাপুর উপজেলা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৪ (চার) মাস জেলেদের সরকার মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকে সরকার।