Published : 21 Jan 2024, 09:57 PM
মন্ত্রিপরিষদে দায়িত্ব পাওয়ার পর কাজ-কর্ম বুঝতে কিছুটা সময় চেয়েছেন নতুন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।
অবসরপ্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, “বেসিক্যালি আমি একজন সৈনিক মানুষ, আমি সেনাবাহিনীতে ২৯ বছর চাকরি করেছি। বাকি অন্যান্য অভিজ্ঞতা আমার তুলনামূলকভাবে কম।
“এই মুহূর্তে আমি প্লানিং কমিশনে প্রজেক্টের চাপায় পড়ে আছি। বের হতে পারছি না এখনো। সুতরাং আমার জন্য একটু সময় লাগবে, এই পরিকল্পনা কমিশনের কাজকর্ম বোঝার জন্য, জানার জন্য, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।”
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম।
মন্ত্রী হিসেবে পাঁচ কর্মদিবসের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের কাজকে সাগরের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “এই পাঁচ দিনে এই বিশাল সাগরে সাঁতার কাটা অত্যন্ত দুষ্কর ব্যাপার।”
পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে প্রতি সপ্তাহে একনেক সভায় সরকারপ্রধানের মুখোমুখি হতে হবে, সেই প্রসঙ্গে আব্দুস সালাম বলেন, “তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যে অভিজ্ঞতা, তার যে মেধা এবং তার যে স্মৃতি শক্তি- এটা বিস্ময়কর একটি বিষয়।”
নতুন পরিকল্পনা মন্ত্রীকে গ্রহণ এবং সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলমের বিদায় উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ মন্ত্রণালয়ের সদ্য সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করে দেশের উন্নয়ন খাদের নিচ থেকে খাদের উপরে বা পাড়ে উঠেছে বলে আমি মনে করি।”
একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রকল্প অনুমোদনে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান।
পরিকল্পনা কমিশনে কর্মকর্তা এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকে নিজের জীবনের সেরা ‘ফলদায়ক সময়’ বলে বর্ণনা করেন অধ্যাপক শামসুল আলম।
সদ্য সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী তার প্রণীত ‘ভিশন ২০২১’ কে গর্ব করার মতো কাজ উল্লেখ করে বলেন, “আন্তর্জাতিক কোনও গাইডলাইন ছাড়াই আমার নেতৃত্বে এই এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছিল।”
স্মৃতিচারণ করে অধ্যাপক শামসুল বলেন, “প্রথমে ভিশন-২১ প্রণয়ন করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের কাছে উপস্থাপন করি।
“কিন্তু ওই দলিল অনেক বড় হয়ে যাওয়ায় অর্থমন্ত্রী ওই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ফিরিয়ে দেন। এরপর প্রায় ১০০ পৃষ্ঠায় প্রণীত একটি দলিল অর্থমন্ত্রীর অনুমোদন দিয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়।”
অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকঠামো উন্নয়ন বিভাগের সদস্য মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, শিল্প শক্তি বিভাগের সদস্য মো. আব্দুল বাকী; কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ কে এম ফজলুল হক।