দেশের বাজারে ইফাদের ‘ফর্টিফাইড’ আটা

দশটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ ‘ফর্টিফাইড আটা’ দেশে বাজারজাত শুরু করেছে ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড।

দেশের বাজারে বাণিজ্যিকভাবে প্রথমবারের মত এমন আটা আনা হয়েছে বলে দাবি কোম্পানিটির।

ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের কারিগরি সহায়তায় এ উদ্যোগ নেওয়ার কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে ইফাদ মাল্টি পোডাক্টস।

রাজধানীতে দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে সম্প্রতি এ আটা বাজারজাত কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টসের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল এইচ চৌধুরী ও গেইন বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাদ্যে আবশ্যকীয় উপাদান-মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর অনুপস্থিতি বিশেষত জিঙ্ক, আয়োডিন, ভিটামিন এ ও ফোলেটের ঘাটতি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটির বেশি মানুষ স্থুলতা, অধিক ওজন সমস্যায় ভুগছে এবং কম ওজন ইত্যাদি অপুষ্টিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার শিকার।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে আটা-ময়দা ‘ফর্টিফিকেশনে’ বিদ্যমান ১০টি প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের মধ্যে রয়েছে- বি৬, বি১২, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন, থিয়ামিন, ভিটামিন এ ও জিঙ্ক। এগুলো সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো মোকাবিলার জন্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

ফর্টিফাইড আটা-ময়দা হাড়ের শক্তি বাড়ায়, প্রতিরোধ ক্ষমতা, রক্তস্বল্পতা ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ এবং শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ নিশ্চিত করতে সহায়ক বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।

অনুষ্ঠানে গেইন এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আবুল বাশার চৌধুরী বাংলাদেশে খাদ্য ফর্টিফিকেশন বিষয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।

স্বাস্থ্য, শিল্প, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতাল, বারডেম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জনস্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউট, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।