Published : 07 Sep 2022, 11:24 AM
মাঝে এক মাস কমার পর রান্না ও গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলপিজির দাম আবার বাড়ল সেপ্টেম্বরে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বুধবার জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির দাম পড়বে মূসকসহ ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা, যা আগের মাস অগাস্টের চেয়ে ১ টাকা ১৬ পয়সা বেশি।
অগাস্ট মাসে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির জন্য ১০১ টাকা ৬২ পয়সা খরচ করতে হয়েছিল। জুলাইয়ের চেয়ে কেজিতে প্রায় ৩ টাকা কমিয়ে ওই দাম ঠিক করা হয়েছিল অগাস্টের জন্য।
কমিশনের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ফারুক বুধবার সেপ্টেম্বরের জন্য পরিবর্তিত মূল্য ঘোষণা করে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম কিছুটা কমলেও ডলারের বিনিময় হার বেশি থাকায় বাংলাদেশের ক্রেতাদের সেই সুফল দেওয়া যাচ্ছে না।
নতুন মূল্য হার অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজি ওজনের এক সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ৫৬৬ টাকা, ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ১২৩৫ টাকা, সাড়ে ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ১২৮৬ টাকা, ১৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৫৪৪ টাকা, ১৬ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৬৪৬ টাকা হবে।
এছাড়া ১৮ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৮৫২ টাকা, ২০ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২০৫৮ টাকা, ২২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২২৬৪ টাকা, ২৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২৫৭১ টাকা, ৩০ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩০৮৬ টাকা, ৩৩ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩৩৯৬ টাকা, ৩৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩৬০০ টাকা এবং ৪৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৪৬৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মূসকসহ প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ টাকা ৫৫ পয়সা। বুধবার থেকেই এলপিজির নতুন মূল্যহার কার্যকর হবে বলে বিইআরসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রোপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে বিইআরসি। সেপ্টেম্বরের জন্য সৌদি আরামকোর কনট্রাক্ট প্রাইসের (সিপি) ভিত্তিতে প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণের প্রতি টনের গড় মূল্য ধরা হয়েছে ৬৩৭ মার্কিন ডলার, অগাস্ট মাসে এই দাম ৬৬৩ দশমিক ৫০ ডলার ছিল।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে তারা দাম বিশ্লেষণ করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন মূল্যে এলসি সেটেলমেন্ট করে। তার ভিত্তিতে ডলারের গড় মূল্য ১০৪ টাকা ০২ পয়সা ধরে এ মাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
“কমিশনের মনিটরিংয়ের যে ব্যবস্থা আছে, বা যে প্রক্রিয়া, আমরা সেই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমরা সরকার ও সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মনিটর করে থাকি। যদিও এটা কতটুকু ইফেক্টিভ হয়, সেটা আমি এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। কারণ বিভিন্ন ধরনের মতভেদ এখানে আছে।
“তবে একটা কথা বলতে পারি যে, কমিশনের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির ফলে এই সেক্টরে একটা ডিসিপ্লিন এসেছে এবং ভোক্তারা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এটা পাচ্ছে। যদিও এই পুরো প্রক্রিয়া অর্গানাইজড ওয়েতে আসতে আরো কিছুটা সময় নিতে পারে।”