Published : 20 Apr 2025, 08:09 PM
খাগড়াছড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে উদ্ধার করার দাবি জানিয়েছে সাতটি বাম ছাত্র সংগঠনের মোর্চা- গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
রোববার জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। আমরা প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।"
গত বুধবার বিঝু উৎসব শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী।
তারা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা এবং তার চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
পাহাড়ে এর আগেও বহু অপহরণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা।
"খাগড়াছড়ি সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে ছয়জনকে হত্যা, সাবেক ছাত্রনেতা মিঠুন চাকমাকে হত্যা, বিপুল চাকমাসহ চার ছাত্র-যুব নেতাকে হত্যার ঘটনাসহ এ ধরনের কোনো ঘটনারই তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত হয়নি। ফলে এরকম অপরাধকর্ম বারবার সংঘটিত হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।”
বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা এবং বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাওফিকা প্রিয়ার সই রয়েছে।