Published : 13 May 2025, 10:31 PM
একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানি ও ট্রেজারার মো. মামুন অর রশিদকে অপসারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজ নিজ পদে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অন্তর্বর্তী’ উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আলাদা প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় অনুবিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ এস এম কাসেমও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একই তথ্য দেন।
উপাচার্য শুচিতা শরমিনকে অব্যাহতি দেয়ার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, “এক দফা দাবি পূরণ হওয়ায় আমরা আনন্দ মিছিল করেছি।
“প্রজ্ঞাপন জারির পর আমাদের অনশন ও মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ায় ৯টার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
উপাচার্য অপসারণের এক দফা দাবিতে এদিন বিকাল ৫টায় বরিশাল-পটুয়াখালী ও বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করেন একদল শিক্ষার্থী। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
আগের দিন ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংহতি সমাবেশ ও অবস্থান’ কর্মসূচি থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ‘মহাসড়ক ব্লকেড’করার ঘোষণা আসে।
দাবি আদায়ে সোমবার রাত ১১টা থেকে অনশন কর্মসূচিও শুরু করেন একদল শিক্ষার্থী, যা মঙ্গলবার দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
মঙ্গলবার দাবি আদায়ে প্রথমে দুপুর ২টা ও পরে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা বিকাল ৫টায় মহাসড়ক অবরোধের কর্মসূচিতে যান।
এর আগে গত ৬ মে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্টের দোসরদের’ পুনর্বাসন করার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
সেদিন তাদের অভিযোগ ছিল, ছয় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে তারা উপাচার্যের কাছে ২২ দফা তুলে ধরেছিলেন, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।