কোভিড: শনাক্ত ২০৭, মৃত্যু ২ জনের

দেশে এক দিনে আরও ২০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৪৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০৭ জন রোগী শনাক্ত হয়।

তাতে দিনে শনাক্তের হার সামান্য বেড়ে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে। আগের দিন এই হার ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ছিল।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৮ জন হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪১৫ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯০ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৩০৬ জন।

নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১৪৪ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। দেশের সবকটি বিভাগের ৪৭টি জেলায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগ ছিল করোনাভাইরাস রোগীশূন্য।

যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, আরেকজন রাজশাহী বিভাগের। দুজনই ছিলেন পুরুষ। তাদের একজন ত্রিশোর্ধ্ব, আরেকজনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

দেশে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু দুটোই কমেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সারাদেশে ১৬৯৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭২০ জন। এক সপ্তাহে রোগী কমেছে ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহে সারাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন। আগের সপ্তাহে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল এই রোগে। এক সপ্তাহে মৃত্যু কমেছে ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৫ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬২ কোটি ৭৬ লাখ।