Published : 19 Jun 2025, 08:43 PM
গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোতে নিরাপদ এবং টেকসই মহাসাগর অর্থনীতি গঠনে জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক ‘ওশান সম্মেলন’।
সাতটি উদীয়মান দেশকে নিয়ে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রথম সারির অংশীদার বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সম্প্রতি ফ্রান্সের নিস শহরে এ সম্মেলন হয়, যেখানে একই সঙ্গে তৃতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনের একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানও উদ্বোধন হয়।
‘ইউনাইটেড বাই ওশান সেন্টারস — গ্লোবাল অ্যান্ড লোকাল ওশান কোলাবোরেশন ইন প্র্যাকটিস’ শীর্ষক এ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, সরকারি নেতা এবং বিভিন্ন দেশের কান্ট্রি লিডরা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ওশান সেন্টারস বাংলাদেশের প্রতিনিধিও ছিলেন।
৮-১৪ জুন পর্যন্ত হওয়া এ সম্মেলনে ওশান সেন্টারস বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ঘানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া এবং ফিলিপাইনের কান্ট্রি লিডাররা বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে ওশান সেন্টারস বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন কমোডর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক (অব.)।
‘জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ’ হল বিশ্বের বৃহত্তম করপোরেট সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগের স্থানীয় শাখা। এটি ৬৬ টির বেশি খাতে বাংলাদেশি কোম্পানিকে একত্রিত করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে একটি গবেষণাভিত্তিক প্রাথমিক পর্যালোচনার পর বাংলাদেশকে নির্বাচন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন দেশের সমুদ্রনীতি, জলবায়ু ঝুঁকি এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
মৎস্যসম্পদ, অফশোর এনার্জি এবং বন্দর আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার কারণে মহাসাগরীয় টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান রয়েছে।
তবে সীমিত প্রতিযোগিতা, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের বিভাজন এবং দুর্বল পরিবেশগত পরিকল্পনার মতো কাঠামোগত ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ এ অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এছাড়া জলবায়ু ঝুঁকি, অবকাঠামোগত ঘাটতি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে ওশান সেন্টারস চারটি মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে কাজ শুরু করছে। এগুলো হল, মৎস্য খাতে নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি; বন্দর উন্নয়নে টেকসই নীতি একীভূত করা; অব্যবহৃত সামুদ্রিক সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব বাড়ানো।
এই উদ্যোগে অংশ নিতে আগ্রহী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা উদ্যোক্তারা ওয়েবসাইট (www.oceancentres.com) থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।