Published : 15 May 2025, 10:24 PM
মোবাইল ডেটার দাম ‘কমানোর’ কারণে নিজেদের আয় কমে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর— রবি।
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অপারেটরটি বলছে, আয় কমলেও গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় কর পরবর্তী মুনাফা ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার রবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাতে অপারেটরগুলোকে নানাভাবে ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বৃহস্পতিবারও মোবাইল অপারেটরগুলোকে দাম কমানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “মোবাইল অপারেটরগুলোর চাহিদা অনুযায়ী তাদের বেশকিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এরপরও দাম না কমালে তাদের পুরনো বকেয়া এবং তাদের দেওয়া সুবিধাগুলো আবার আলোচনার টেবিলে তোলা হবে।”
এদিকে প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের বিষয়ে রবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “মোবাইল যেটার মূল্য হ্রাসের সরাসরি প্রভাব পড়েছে রবির আয়ে। পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও চলমান অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে পুরো টেলিযোগাযোগ খাতের মত রবির আর্থিক ফলেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।”
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে রবির মোট আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৪১ কোটি টাকায়, যা এর আগের প্রান্তিকের তুলনায় দশমিক ৬ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ কম।
ভয়েস ও ডেটা- উভয় খাতে আয় কমার তথ্য দিয়ে রবি বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ভয়েসে রবির আয় কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ এবং ডেটায় কমেছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) হয়েছে ১২৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা,যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।”
রবি বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে রবির সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা ৫ কোটি ৬৪ লাখ, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে তিন লাখ ৭০ হাজার এবং আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ লাখ কম।
রবির হিসাবে, তাদের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৫ লাখ, আর ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ। ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ সক্রিয় গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আর সক্রিয় গ্রাহকদের ৬৫ শতাংশ ফোর-জি ব্যবহার করেন।
গ্রাহক সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে রবির ভাষ্য, “চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সিমের ওপর কর ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়। এই পরিবর্তন এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গ্রাহক সংখ্যা কমে যায়।”