Published : 07 May 2025, 10:18 PM
ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডির তথ্য ফাঁস হওয়ার ‘প্রমাণ পাওয়ার’ কথা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির ‘তথ্য যাচাই সেবা’ সাময়িক বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তথ্য ফাঁসের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক ব্যাংক বলেছে, “আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করেছে এবং ব্যাংকের সিস্টেমের মাধ্যমে এনআইডি ডেটাবেজের কোনো তথ্য বাইরে (ফাঁস) যায়নি।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্র্যাক ব্যাংকের টেকনোলজি অবকাঠামো অত্যন্ত মজবুত ও দুর্ভেদ্য। এটি যেকোনো হ্যাকিংয়ের চেষ্টা প্রতিরোধে সক্ষম। টেকনোলজি অবকাঠামো একটি দক্ষ ও পেশাদার টিমের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকে।
“নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাক ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ব্যাংক দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। দ্রুত এনআইডি সার্ভারের অ্যাক্সেস পুনরায় চালু করতে ব্র্যাক ব্যাংক নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।”
বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির এনআইডি উইং মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, নাগরিকদের সংরক্ষিত এনআইডি তথ্য ফাঁস হওয়ার ‘প্রমাণ পাওয়ায়’ ব্র্যাক ব্যাংক ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে ‘যাচাই সেবা’ সাময়িক বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন।
“গতকাল (মঙ্গলবার) মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ডেটা লিকের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ দুটো প্রতিষ্ঠান আনসার ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংক, সেখান থেকে এ ডেটা লিকের ঘটনা ঘটছে। দুটো জায়গা থেকে লিক হচ্ছে তখন আমরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িকভাবে এটা বন্ধ করে দিয়েছি।”
এনআইডি অনুবিভাগ থেকে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাই সেবা নিতে ইসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে।
সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে এনআইডি সেবা গ্রহণকারী তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনার পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সেবাও বন্ধ রয়েছে। ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠান হল- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এবার এই তালিকায় যুক্ত হল ব্র্যাক ব্যাংক ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।