বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি
Published : 09 Dec 2024, 05:28 PM
ট্রাভিস হেডের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো মোহাম্মদ সিরাজকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হচ্ছে না। তবে এর চেয়েও নাকি বাজে কাজ করেছেন ভারতীয় পেসার। তার বিরুদ্ধে ‘আম্পায়ারকে সম্মান না দেখানোর’ অভিযোগ তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল ক্লার্ক ও স্টুয়ার্ট ক্লার্ক। এমন কাজ করেও সিরাজ আইসিসির শাস্তি না পাওয়ায় অবাক হয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক।
অ্যাডিলেইডে দিবা-রাত্রির টেস্টে ভারতকে ১০ উইকেটে হারানোর পথে বড় অবদান রাখেন হেড। এক ইনিংসে সুযোগ পেয়ে চমৎকার ব্যাটিংয়ে ১৪০ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ছক্কা হজম করার পরের বলে তাকে বোল্ড করে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন সিরাজ। হেডকে ‘সেন্ড অফ’ দেখান ভারতীয় পেসার। তখন তাদের মধ্যে শুরু হয় কথার লড়াই।
হেডের সঙ্গে সিরাজের অমন আচরণ ভালোভাবে নেননি অনেকেই। সেই তালিকায় থাকা মাইকেল ক্লার্ক তুলে ধরেন এই পেসারের অন্য আরেকটি আচরণের কথা। যার জন্য শাস্তি পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন ২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।
গোলাপি বলের টেস্টে সিরাজের একটি ডেলিভারিতে মার্নাস লাবুশেনের প্যাডে বল লাগলে নিশ্চিত এলবিডব্লিউ ধরে নিয়ে উদযাপন শুরু করে দেন বোলার। আউটের জন্য আম্পারের দিকে ঘুরে আবেদন করার প্রয়োজনই মনে করেননি তিনি।
পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, লাবুশেনের ব্যাটে লেগে প্যাডে আঘাত করেছে বল। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউও নেননি ভারত অধিনায়ক রোহিত শার্মা।
সিরাজের এমন আচরণ দৃষ্টিকটু লেগেছেন মাইকেল ক্লার্কের কাছে। স্কাই স্পোর্টস রেডিওতে আলাপকালে সেটা নিয়ে কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান।
“এলবিডব্লিউর জন্য আবেদন চালিয়ে যাওয়া এবং আম্পায়ারকে (আউট কিনা) জিজ্ঞাসা না করার জন্য সিরাজকে জরিমানা করা উচিত। তার বল ব্যাটসম্যানের প্যাডে আঘাত করার পর সে এমনভাবে দৌড় দেয় যেন ব্যাটসম্যান আউট। প্রথম টেস্টেও সিরাজ এমনটা করেছে। চাইলে আপনি যেকোনো কিছুর জন্যই আবেদন করতে পারেন, তবে আপনাকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারের কাছে আবেদন করতে হবে।”
“আইসিসি তাকে জরিমানা না করায় আমি অবাক হয়েছি। কারণ, আমার মনে আছে, যখন খেলতাম এমন কিছু করলে প্রতিবারই জরিমানা করা হতো। ব্রেট লি এই জায়গায় সবচেয়ে খারাপ ছিল এবং তারা (আম্পায়ার) তাকে এটাও বলত, ‘তুমি ঘুরে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসা করোনি, তোমাকে জরিমানা করা হবে।’ ট্রাভিস হেড ও তার মধ্যে যা হয়েছে, সেটার চেয়ে আমি সিরাজের এই আচরণে বেশি উদ্বিগ্ন।”
সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার স্টুয়ার্ট ক্লার্কের কাছে তো প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানোর চেয়ে আম্পায়ারকে অসম্মান করা বেশি বাজে কাজ।
“আমি মনে করি, হেডের সঙ্গে ওই কাণ্ডের চেয়ে চেয়ে এটা (আম্পায়ারের দিকে ঘুরে আবেদন না করা) অনেক খারাপ। এটা নিয়ে অনেকবার আলোচনা হয়েছে, এমন করা যাবে না। আম্পায়াররা এই জায়গায় বেশ পরিষ্কার এবং নিয়মও তাই, আপনাকে ঘুরতে হবে এবং আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে আউট কিনা।”