Published : 16 Jun 2025, 10:01 PM
প্রথম চার বলে বোল্ড চার ব্যাটসম্যান। পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ আরেক জন। ব্যাস, ম্যাচের সমাপ্তি! এমন অবিশ্বাস্য বোলিংই উপহার দিয়েছেন দিগ্বেশ রাঠি। এবারের আইপিএলে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়ার পাশাপাশি নেতিবাচক কারণে খবরের শিরোনাম হওয়া ভারতীয় লেগ স্পিনার টানা পাঁচ বলে পাঁচ উইকেট নেওয়ার বিস্ময় জাগানিয়া কাজটি করেছেন স্থানীয় একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।
দিগ্বেশের আইপিএল দল লাক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টস সোমবার তার ওই বোলিংয়ের ভিডিও পোস্ট করেছে সামাজিক মাধ্যমে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক সাঞ্জিব গোয়েঙ্কাও সেই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “স্থানীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দিগ্বেশ রাঠির পাঁচ বলে ৫ উইকেট নেওয়ার এই ক্লিপ দেখে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। যে প্রতিভা ২০২৫ সালের আইপিএলে লাক্ষ্নৌর হয়ে তাকে একজন তারকা করে তুলেছিল, তার এক ঝলক।”
Digvesh Rathi. 5 stars 🌟 🌟🌟🌟🌟pic.twitter.com/tF4Nw0Gj0Q
— Lucknow Super Giants (@LucknowIPL) June 16, 2025
ম্যাচটি কোথায় হয়েছে বা টুর্নামেন্টের নাম কী, এসবের যদিও উল্লেখ করা হয়নি। ম্যাচটিতে মোট ৭ উইকেট শিকার করেন দিগ্বেশ।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথম তিন ওভারে ২৮ রান দিয়ে তার শিকার ছিল ২ উইকেট। ইনিংসের পঞ্চদশ ওভারে যখন নিজের কোটার শেষ ওভারটি করতে আসেন তিনি, প্রতিপক্ষের দরকার ৩৬ বলে ১১৩ রান, হাতে ৫ উইকেট।
ওভারের প্রথম পাঁচ বলে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন ২৫ বছর বয়সী স্পিনার।
এবারই প্রথম আইপিএলে খেলার সুযোগ পান দিগ্বেশ। আইপিএল শুরুর আগে ভারতীয় ক্রিকেটে খুব একটা পরিচিত ছিলেন না তিনি। স্বীকৃত ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা বলতে ছিল কেবল ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে দুটি ম্যাচ খেলা। তবে গত দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে তিনি নজর কেড়েছিলেন ১০ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে। রান আপ কিছুটা সুনিল নারাইনের মতো, ডেলিভারি করেন বল পেছনে লুকিয়ে। সব মিলিয়ে তার দিকে নজর পড়ে লাক্ষ্নৌর। নিলামে ৩০ লাখ রুপিতে তাকে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
লাক্ষ্নৌ প্লে-অফে উঠতে না পারলেও নিজের প্রথম আইপিএলে বল হাতে চমক দেখান দিগ্বেশ। আসরে দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট নেন তিনি ১৩ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৮.২৫ করে রান দিয়ে।
আলোচিত ও সমালোচিত ছিলেন তিনি ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর ‘নোটবুক’ উদযাপন করেও, যেখানে তিনি কিছু একটা লেখার বা অটোগ্রাফ দেওয়ার ভঙ্গি করেন। উদযাপনের বাড়াবাড়ির জন্য তাকে শাস্তিও পেতে হয় কয়েকবার। এক আসরে তিনবার আচরণবিধি ভঙ্গ করে তিনবার জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধও হয়েছিলেন তিনি।