Published : 13 Jun 2025, 01:51 PM
মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্বে টেস্ট, মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক মেহেদী হাসান মিরাজের। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বেও খেলেন স্পিনিং অলরাউন্ডার। এবার নিজে দায়িত্ব পেয়ে অগ্রজ সতীর্থদের থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগানোর কথা বললেন মিরাজ।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যে কোনো ভালো পারফরম্যান্সের পর সংবাদ সম্মেলন বা সাক্ষাৎকারে প্রায়ই সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবদান তুলে ধরেন মিরাজ। তাদের থেকে পাওয়া পরামর্শ মাঠে কাজে লাগিয়ে সফল হওয়ার কথা প্রায়ই বলেন ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
প্রায় সাড়ে ৮ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বললেন, সাবেক অধিনায়কদের পাওয়া শিক্ষা নিজের নতুন পরিচয়ে কাজে লাগাতে চান তিনি।
“মাশরাফি ভাইয়ের অধিনায়কত্বে আমার (ওয়ানডে) অভিষেক হয়েছে। অনেক অধিনায়ককে পেয়েছি আমি। এটা আমার জন্য ভালো লাগার বিষয়। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেটা আমি হয়তো আমার এই অধিনায়কত্বে কাজে লাগাতে পারব।”
সময়ের পালাক্রমে তিনি এখন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের একজন। এর সঙ্গে পেয়েছেন ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব। তাই দলের তরুণ ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করা কিংবা যে কোনো প্রয়োজনে পরামর্শ দেওয়ার কাজও করতে হবে।
সেই দায়িত্ব পালনে ড্রেসিং রুমের মধ্যে সবাইকে আগলে রেখে এগিয়ে যেতে চান মিরাজ।
“এখন আমাদের অবশ্যই দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে। আমরা যথেষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্রিকেট খেলেছি, প্রায় ৮-৯ বছর ধরে খেলছি। যারা জুনিয়র আছে তাদের অবশ্যই পারফর্ম করতে হবে, ওই পরামর্শগুলো দেবো।”
“আমরা যখন প্রথম দলে ঢুকেছি, বড় ভাইরা আমাদের যেভাবে সাহায্য করেছে, চেষ্টা করব সেভাবে (জুনিয়রদের) সাহায্য করার, ড্রেসিংরুমটা ওভাবে রাখার। যেন যে-ই ড্রেসিংরুমে থাক না কেন, সে যেন অনুভব করে যে, আমি একা নই, আমার সঙ্গে সবাই আছে।”
তিন সংস্করণ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাকিবের অধিনায়কত্বে সবচেয়ে বেশি ৪১ ম্যাচ খেলেছেন মিরাজ। এছাড়া ৩৮ ম্যাচে তার অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি আর ৩৫টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম।
নানান সময়ে খুব কাছ থেকে তাদের বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখেছেন মিরাজ। সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে যে কোনো শক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা অভিজ্ঞ স্পিনিং অলরাউন্ডারের।
“তাদের (সিনিয়র ক্রিকেটার) থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যেটা আমার ক্যারিয়ারে অনেক কাজে লেগেছে। বিশেষ করে তারা কীভাবে অধিনায়কত্ব করেছেন, এই জিনিসগুলো আমার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।”
“তারা যেভাবে কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতেন, সেগুলো অনুসরণ করেছি। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় পক্ষে আসবে, অনেক সময় আসবে না। আপনি সিদ্ধান্তগুলো কীভাবে নিচ্ছেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।”