Published : 05 Jun 2025, 12:57 AM
দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ট্যামি বাউমন্ট ও অ্যামি জোন্সের ব্যাটে রানের জোয়ার বইছে। পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। এতে তাদের নাম খোদায় হয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায়।
পুরুষ কিংবা নারীদের ওয়ানডে ক্রিকেটে তারাই প্রথম উদ্বোধনী যুগল, যারা শতকের স্বাদ পেলেন পরপর দুই ম্যাচে।
ডার্বিতে গত শুক্রবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১০৭ রান করেন বাউমন্ট। ওই ম্যাচ দিয়ে ২০১৯ সালের পর প্রথমবার এই সংস্করণে ওপেনিংয়ে নেমে জোন্স করেন ১২২। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২২২ রান। ৩৪৫ রানের পুঁজি গড়ে ১০৮ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড।
সেদিন যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন লেস্টারে বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুরু করেন বাউমন্ট ও জোন্স। এবার বাউমন্ট করেন ১০৯ বলে ১০৬ ও জোন্স ৯৮ বলে ১২৯। তাদের শুরুর জুটিতে আসে ২০২ রান।
এই দুজন ছাড়া মেয়েদের ওয়ানডেতে দুইশ ছোঁয়া একাধিক জুটি আছে কেবল অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং ও এলিস পেরির।
১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ইংল্যান্ডের হয়ে সব সংস্করণ মিলিয়ে দুইশর বেশি ম্যাচ খেলে এই সিরিজের আগে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না জোন্সের। সেখানে তিনি শতকের স্বাদ পেলেন পরপর দুই ম্যাচে, পাঁচ দিনের ব্যবধানে।
এ দিন তার ৭৬ বলের সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডের হয়ে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ন্যাট সিভার-ব্রান্টও। বাউমন্ট, জোন্স, সিভার-ব্রান্ট- এই তিন জন ছাড়া ইংল্যান্ডের হয়ে পরপর দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি নেই আর কারও।
বাউমন্ট এই স্বাদ পেলেন তিন দফায়। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে করেছিলেন ১০৪ ও ১৬৮* এবং ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ১০১ ও ১০৫।
সব মিলিয়ে বাউমন্টের সেঞ্চুরি হলো ১২টি, মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ১৩ সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে আছেন নিউ জিল্যান্ডের সুজি বেটস, ১৫ সেঞ্চুরি নিয়ে চূড়ায় ল্যানিং।
১১ সেঞ্চুরি নিয়ে এই তালিকার চার নম্বরে আছেন ভারতের ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা।