আইপিএল
Published : 18 May 2025, 10:06 PM
প্রাসিধ কৃষ্ণার ব্যাক অব দা লেংথ ডেলিভারিটি চমৎকার শটে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারলেন লোকেশ রাহুল। এক বল পর লেগ সাইড দিয়ে চার মেরে কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেলেন তিনি। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
আরুন জেটলি স্টেডিয়ামে রোববার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ১১২ রান করেন রাহুল। ৬৫ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৪টি ছক্কা ও ১৪টি চারে।
আইপিএলে এটি রাহুলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। চলতি আসরে তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন প্রথমবার। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এনিয়ে সপ্তম শতক করলেন ভারতীয় এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
এই ইনিংসের পথে একটি রেকর্ডও গড়েন রাহুল। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৮ হাজারের রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এই পথচলায় ছাড়িয়ে যান ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট ভিরাট কোহলিকে।
২০ ওভারের ক্রিকেটে ৮ হাজার রান করতে কোহলির লেগেছিল ২৪৩ ইনিংস। আর রাহুলের লাগল ২২৪ ইনিংস।
সব মিলিয়ে রাহুলের চেয়ে কম ইনিংসে ৮ হাজার রান করতে পেরেছিলেন দুইজন, পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজম (২১৪) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল (২১৩)।
এদিন টস হেরে ব্যাটিং নামা দিল্লিকে ভালো শুরু এনে দেন রাহুল। ম্যাচের প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ সিরাজকে দুটি চার মেরে ভালো সূচনার আভাস দেন তিনি।
ফাফ দু প্লেসিকে তৃতীয় ওভারেই হারিয়ে ফেলে দিল্লি। কিন্তু দলকে চাপে পড়তে দেননি রাহুল। পঞ্চম ওভারে ফের সিরাজকে দুটি চার মারেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা কাগিসো রাবাদাকে হাঁকান দুটি ছক্কা ও একটি চার।
৮ হাজারের ক্লাবে পা রাখতে এদিন ৩৩ রান প্রয়োজন ছিল রাহুলের। রাবাদার ওই ওভারেই সেই ঠিকানায় পৌঁছে যান তিনি। কয়েক ওভার পর রাশিদ খানকে চার মেরে ৩৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
রাহুলের সঙ্গে আভিশেক পোরেলও দলের রানের চাকায় দম দেন। তাদের দুইজনের ৫২ বল স্থায়ী ৯০ রানের জুটি ভাঙে দ্বাদশ ওভারে, ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১৯ বলে ৩০ রান করা পোরেলের বিদায়ে।
সাই কিশোরকে টানা তিনটি চার মেরে রানের গতি সচল রাখেন রাহুল। পরে ১৯ তম ওভারে প্রাসিধকে সেই ছক্কা ও চারে ৬০ বলে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন রাহুল।
আইপিএলে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় কোহলি (৮), জস বাটলার (৭) ও গেইলের (৬) পরই রাহুল। আর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয়দের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল কোহলি (৯) ও রোহিত শার্মার (৮টি)। তার সমান ৭টি সেঞ্চুরি আছে আভিশেক শার্মার।
১ ছক্কা ও ২ চারে ১৬ বলে ২৫ রান করেন দিল্লির অধিনায়ক আকসার প্যাটেল। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ১০ বলে ২১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ট্রিস্টান স্টাবস।
শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করে দিল্লি।