Published : 30 Mar 2025, 01:18 PM
“সবশেষ কবে রাশিদ খান আপনাদের হয়ে পুরো চার ওভার বোলিং করেননি?” পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে শুবমান গিলকে জিজ্ঞেস করলেন সঞ্চালক হার্শা ভোগলে। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়কের মুখে চওড়া হাসি খেলে গেল প্রশ্ন শুনতে শুনতেই। হাসির রেশ রেখেই গিল বললেন, “আমি জানি না… আমার মনে হয়, এবারই হয়তো প্রথমবার কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্রেফ দুই ওভার বোলিং করেছে সে!”
গিলের ধারণা পুরোপুরি সত্যি নয়। তবে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাট টাইটান্সের লড়াইয়ে যা হয়েছে, সেটিও খুব স্বাভাবিক নয়। রাশিদ খানের চার ওভার বোলিং না করার ঘটনা তো রোজ দেখা যায় না। সবশেষ কবে দেখা গেছে, সেটিই গবেষণার বিষয়।
আহমেদাবাদে শনিবার গুজরাটের ১৯৬ রান তাড়ায় ২০ ওভার পুরোটাই খেলে মুম্বাই করতে পারে কেবল ১৬০ রান। রাশিদ যথারীতি আঁটসাঁট বোলিংয়ে দুই ওভারে ১০ রান দেন। সেই দুই ওভার শেষ হয়ে যায় ইনিংসের ১০ ওভারের মধ্যেই। পরের ১০ ওভারে আর বোলিংই পাননি আফগান লেগ স্পিন জাদুকর।
আট বছরের আইপিএল ক্যারিয়ারে রাশিদে ১২৩তম ম্যাচ ছিল এটি। এই ম্যাচের আগে কেবল পাঁচটি ম্যাচে পুরো চার ওভার বোলিং করেননি তিনি। এর মধ্যে একটিতে বোলিং করেছিলেন ৩.৫ ওভার, একটিতে ৩ ওভার। দুটিতে ছিল ২ ওভার, বাকি একটি ১.৪ ওভার।
তবে ওই ম্যাচগুলির কোনোটিতেই ইনিংসে ২০ ওভার হয়নি। আইপিএলে কোনো পূর্ণাঙ্গ ইনিংসে রাশিদ চার ওভার বোলিং করলেন না এই প্রথম!
হাসিতে উত্তর দেওয়া শুরু করে গুজরাট অধিনায়ক গিল পরে ব্যাখ্যা করলেন রাশিদকে আর বোলিং না দেওয়ার কারণ।
“তার দুই ওভার রেখে দিয়েছিলাম শেষ দিকে করানোর জন্য। কিন্তু ফাস্ট বোলাররা যেভাবে বোলিং করছিল, আমি চাইনি মাঝপথে খেলা আলগা হয়ে যাক। ফাস্ট বোলাররা দারুণ বোলিং করছিল, বিশেষ করে প্রাসিধ চমৎকার করছিল তখন। আমার মনে হলো, তাদেরকে শেষ করিয়ে দিয়ে খেলাটা যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে যাওয়া যাক ও ওদের ওভারগুলো শেষ হোক।”
১১ ওভারের পর প্রাসিধ কৃষ্ণাকে আক্রমণে আনেন গুজরাট অধিনায়ক গিল। প্রথম ওভারেই তিলাক ভার্মাকে ফেরান এই পেসার। পরে বিদায় করেন বিপজ্জনক সুরিয়াকুমার ইয়াদাভকে। প্রথম তিন ওভারে স্রেফ আট রান দিয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন তিনি
চার ওভারের টানা স্পেলে শেষ ওভারে দুটি বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। তার পরও ওই স্পেলই তাকে এনে দেয় আইপিএলে প্রথমবার ম্যান অব দা ম্যাচ হওয়ার স্বীকৃতি।
শেষের ওভারগুলোয় বোলিং করেন গুজরাটের অন্য দুই পেসার কাগিসো রাবাদা ও মোহাম্মদ সিরাজ।