Published : 28 May 2025, 08:20 AM
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্টে পরাজয়, দেশের বাইরে গিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হার। বিব্রতকর দুটি ব্যর্থতার পর সামনে এবার পাকিস্তান। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলবে, বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশার জায়গা খুব একটা নেই। লিটন কুমার দাসের কণ্ঠে অবশ্য আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। যে কোনো দলকে হারানোর বিশ্বাস আছে বলেই জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আরব আমিরাতের কাছে অভাবনীয় সিরিজ হারের পর এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ বুধবার। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষত এখনও দগদগে থাকার কথা। তবে সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, নতুন সিরিজে নতুন রূপে মাঠে নামবে তার দল।
“সবশেষ সিরিজে আমরা প্রত্যাশামতো খেলতে পারিনি। তবে এটি নতুন সিরিজ, নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা জানি, অতীতে আমরা কোথায় খারাপ খেলেছি, কোথায় ভালো করেছি। সেসব নিয়ে চিন্তা করব এবং মাঠে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। দেখা যাক।”
আরব আমিরাতের কাছে হারার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ক্রিকেটারদের। সেসবকে আলিঙ্গন করেই নিজেদের করণীয় বললেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
“আলোচনা-সমালোচনা হবেই। ভালো ক্রিকেট না খেললে এটা তো নরম্যাল জিনিস। তবে আমাদের সবারই চেষ্টা থাকে, ভালো ক্রিকেট কীভাবে খেলতে পারি এবং আমরা জানি কোথায় কী ভুল করেছি। আমরা চেষ্টা করব ওই জিনিসটা যেন এখানে পুনরাবৃত্তি না হয়। আমার মনে হয়, আমরা দলটা খুব ভারসাম্যপূর্ণ। ভালো ম্যাচ উপভোগ করব।”
পাকিস্তানে গিয়ে দুই দিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার প্রথম অনুশীলনের পর প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বলেছেন, আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারলেও তার দলের মনোবল চাঙা আছে।
পাকিস্তানে লিটনদের অনুপ্রেরণারও রসদ আছে। রাওয়ালপিন্ডিতে গত বছর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে তারা। সেই সাফল্য মাথায় রেখে এবার ভিন্ন সংস্করণেও ভালো খেলার আশা শোনালেন অধিনায়ক।
“এবারের ব্যাপারটি পুরোপুরি আলাদা (ওই টেস্ট সিরিজ থেকে)। আমাদের বিশ্বাস আছে, বিশ্বের যে কোনো দলকে হারাতে পারি। তবে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না। অতীতে আমরা কী ভালো করেছি বা খারাপ করেছি, সেগুলো চিন্তা করব এবং সামনে কীভাবে খেলব, সেভাবে এগোনোর চেষ্টা করব।”
ম্যাচ বা সিরিজের সম্ভাব্য ফল নিয়ে ভাবতে চান না অধিনায়ক। তিনি এগোতে চান প্রক্রিয়ার পথ ধরে।
“সিরিজের প্রত্যাশা একটাই যে, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই এবং আমাদের ক্রিকেট ডেভেলপ করতে পারছি কি না। শুধু ফল নয়, ফল সবসময় আপনার দিকে আসবে না। তবে আপনি কীভাবে ক্রিকেট খেলছেন, এটা বড় জিনিস। যদি নিজেদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।”
গত বছরের ডিসেম্বরে ক্যারিবীয় সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র সংস্করণে সুদিন আনার বার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ধারাবাহিকতার কোনো ছাপ রাখতে পারেনি তারা।
আরব আমিরাতের কাছে হারায় উল্টো দলের সামর্থ্য নিয়েই উঠে যায় প্রশ্ন। সব দায় মেনে নতুন সিরিজে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সতীর্থদের তাগিদ দিলেন লিটন।
“অবশ্যই আমরা যদি ধারাবাহিক হতাম, তাহলে হয়তোবা বিশ্বের সেরা দলের মধ্যে থাকতাম। আমরা যেহেতু পেছনের দল, তার মানে কিছু ঘাটতি আছে। ওই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি কীভাবে ধারাবাহিক হওয়া যায়।”
“প্রতিটি সিরিজে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে একরকম চ্যালেঞ্জ ছিল, আরব আমিরাতে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। এখানে তিনটা ম্যাচেও চ্যালেঞ্জ থাকবে। চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কীভাবে নিচ্ছি, কীভাবে গ্রহণ করছি এবং দল হিসেবে কীভাবে সামগ্রিক পারফর্ম করছি, এটা হচ্ছে দেখার বিষয়।”