Published : 01 Apr 2025, 09:39 AM
দুই টেস্ট খেলে একটি ফিফটি। এরপর জায়গা হারাতে হয়েছে একাদশে এবং স্কোয়াডেও। কিন্তু ওই এক ফিফটিতে এক সম্ভাবনার ছবি মেলে ধরেছেন স্যাম কনস্টাস, জায়গা পেয়ে গেছেন তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চুক্তিতে। তরুণ এই ব্যাটসম্যানের মতো প্রথমবার চুক্তিতে ঠাঁই পেয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার বাউ ওয়েবস্টার। এছাড়া চুক্তিতে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু কুনেমান।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ২০২৫-২৬ মৌসুমের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নতুন সংযোজন এই তিন ক্রিকেটার। গত মৌসুমের চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন অফ স্পিনার টড মার্ফি, অলরাউন্ডার অ্যারন হার্ডি ও পেসার শন অ্যাবট।
ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির বক্সিং ডে টেস্টে গত ডিসেম্বরে ফিফটি করার পথে দুঃসাহসী কিছু শট খেলে ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন তোলেন কনস্টাস। ৬০ রানের ওই ইনিংসের পর সিরিজে তিনটি ইনিংস খেলে বড় কিছু আর করতে পারেননি তিনি। পরে শ্রীলঙ্কা সফরের দলে থাকলেও একাদশে জায়গা মেলেনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে সিরিজের মাঝপথে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে প্রতিভা, সম্ভাবনা ও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স মিলিয়ে চুক্তিতে রাখা হলো ১৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে।
ওই শ্রীলঙ্কা সফরেই দুই টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়ে অবদান রাখেন কুনেমান। তার টেস্ট ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিতও হয়। এরপর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পরীক্ষায় তিনি মুক্তি পান। তাকে চুক্তিতে রাখা মানে ন্যাথান লায়নের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
আগামী মৌসুমে এশিয়া সফর নেই অস্ট্রেলিয়ার। তাই বাড়তি আর কোনো স্পিনার রাখা হয়নি। মার্ফিও তাই জায়গা পাননি।
গত মৌসুমের শেষ দিকে দলে এসে সম্ভাবনার ছাপ রেখে চুক্তিতে ঢুকে গেছেন অলরাউন্ডার ওয়েবস্টার।
সম্ভাবনাময় অলরাউন্ডার কুপার কনোলির জায়গা না পাওয়া একটু চমকই বলতে হবে। গত কিছুদিনে সব সংস্করণেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেক হয়েছে তার। ভবিষ্যতের জন্য তাকে গুরুত্বপূর্ণ একজন মনে করা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। পারফরম্যান্স ভালো না হলেও প্রতিভা ও সম্ভাবনা নিয়ে একই কথা বলা যায় জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককেও নিয়েও। চুক্তিতে জায়গা পাননি তিনিও।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই মৌসুমে এই সংস্করণে প্রচুর ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তাই তাদের সুযোগ থাকবে পরে চুক্তিতে ঢোকার।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি অনুযায়ী, মূল চুক্তিতে রাখা হবে ২০ থেকে ২৪ জন ক্রিকেটারকে। এবার রাখা হয়েছে যেমন ২৩ জনকে। তবে যে কোনো সংস্করণে পর্যাপ্ত ম্যাচ খেললে পরে ‘আপগ্রেডেড’ চুক্তিতে ঢোকার সুযোগ থাকে।
চুক্তিতে জায়গা না পাওয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার মার্কাস স্টয়নিস ও টিম ডেভিডের সামনেও তাই হাতছানি থাকবে পরে চুক্তিতে ঢোকার।
চোটের কারণে গত মৌসুমে নিয়মিত খেলতে না পারলেও চুক্তিতে জায়গা ধরে রেখেছেন ফাস্ট বোলার ল্যান্স মরিস, জেভিয়ার বার্টলেট ও জাই রিচার্ডসন। গত মৌসুমে ‘আপগ্রেডেড’ চুক্তিতে জায়গা করে নেওয়া ন্যাথান ম্যাকসুয়েনি এবারও মূল চুক্তিতে নেই। তবে তার সামনেও সুযোগ থাকবে পরে ঢোকার।
অস্ট্রেলিয়ার চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা বোর্ডের রাজস্বের ভাগ পেয়ে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার: জেভিয়ার বার্টলেট, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেয়ারি, প্যাট কামিন্স, ন্যাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেইজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, উসমান খাওয়াজা, স্যাম কনস্টাস, ম্যাথু কুনেমান, মার্নাস লাবুশেন, ন্যাথান লায়ন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ল্যান্স মরিস, জাই রিচার্ডসন, ম্যাথু শর্ট, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, বাউ ওয়েবস্টার, অ্যাডাম জ্যাম্পা।