Published : 26 May 2025, 10:21 PM
বিপিএলের গত আসরে টিকেট বিক্রির আয় থেকে কোন দলকে কত টাকা দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। ঈদুল আজহার আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দেওয়া হবে প্রাপ্য অর্থ। তবে সেই অর্থ পেতে পূরণ করতে হবে শর্ত- ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখা যাবে না।
বিপিএল শেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, এবারের বিপিএলে টিকেট বিক্রি ও টিকেটের স্বত্ব বিক্রি মিলিয়ে মোট সোয়া ১৩ কোটি টাকার মতো আয় হয়েছে। বিসিবি সভাপতি সেদিনই ঘোষণা দেন, টিকেট বিক্রির আয় থেকে একটা অংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দেওয়া হবে।
আইপিএল এবং অন্যান্য শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে রাজস্বের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অর্থ পেয়ে থাকে দলগুলি। বিপিএলেও দলগুলি রাজস্বের ভাগ দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। সেটা সম্ভব না হলেও এবার অন্তত প্রথমবারের মতো টিকেট বিক্রির আয় থেকে অর্থ দেওয়া হচ্ছে দলগুলিকে।
বিসিবি সোমবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় ঠিক করা হয়েছে দলগুলোকে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ। প্লে-অফে ওঠা চার দলের জন্য বরাদ্দ ৫৫ লাখ টাকা করে, অন্য তিন দলের জন্য ৪৫ লাখ টাকা করে।
সব মিলিয়ে দলগুলির জন্য বরাদ্দ ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
তবে যে দলগুলি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পুরোপুরি পরিশোধ করেনি, তাদের জন্যও আছে বিসিবির বার্তা। কোনো দল যদি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাকি রাখে, সেই বাকি থাকা অর্থের শতকরা হারের সঙ্গে সমানুপাতিকভাবে চূড়ান্ত করা হবে টিকেট বিক্রির আয় থেকে প্রাপ্য অর্থ।
পাশাপাশি গভর্নিং কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বারংবার নোটিশ দেওয়ার পরও যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পারিশ্রমিক বাকি রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বিপিএল চলার সময় ও টুর্নামেন্ট শেষে দুর্বার রাজশাহী ও চিটাগং কিংসের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের বেশ কজন অভিযোগ করেছেন পারিশ্রমিক না পাওয়ার। রানার্স আপ হওয়া চিটাগং কিংসের প্রাইজমানির অর্থও আটকে রাখা হয়েছে।