টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
Published : 04 Jun 2024, 11:59 AM
একদল গুটিয়ে গেল ৮০ রানের কমে। আবার সেই রান তাড়া করতে নেমে আরেক দলকে ভুগতে হলো বেশ। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার অল্প রানের জমজমাট ম্যাচটির পর নিউ ইয়র্কের কন্ডিশন নিয়ে হচ্ছে চর্চা। এসবের অবশ্য কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না আনরিখ নরকিয়া। আগুনে বোলিংয়ে লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দেওয়া এই পেসারের মতে, ম্যাচে বিনোদনের জন্য সব সময় অনেক ছক্কার প্রয়োজন হয় না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য মাত্র ৫ মাসে তৈরি করা হয় নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সেখানে সোমবার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ৬ উইকেটের জয়ে রাঙায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে তাদের সর্বনিম্ন ৭৭ রানে গুটিয়ে সেই রান তাড়া করতে বেশ বেগ পেতে হয় প্রোটিয়াদের। খেলতে হয় ১৭তম ওভার পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য স্পর্শ করে তারা ২২ বল বাকি থাকতে।
ম্যাচটির ভেন্যু নিয়ে এখন চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অসম বাউন্সের পিচ ও মন্থর আউট ফিল্ডের জন্য এখানে রান তুলতে লড়াই করতে হচ্ছে দলগুলোর। তাই এমন কন্ডিশনকে টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ মনে করছেন না অনেকে।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ৭ রানে ৪ উইকেট নেওয়া নরকিয়ার ভাবনা অবশ্য ভিন্ন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা ৩০ বছর বয়সী এই পেসার বললেন, সবকিছু মিলিয়ে দারুণ রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচের অভিজ্ঞতা হয়েছে তার।
“আমার মনে হয়, ম্যাচটি দারুণ ছিল। ম্যাচে বিনোদন ছিল। দর্শকও ছিল। অসাধারণ এক দৃশ্য। সবাইকে দেখা, হই-হুল্লোড়, কোলাহল, উল্লাস শুনতে পারাটা দারুণ লাগছিল। আমি মনে করি, এটা ক্রিকেটের জন্য দারুণ একটা দিন।”
“ভুল হলে আমাকে শুধরে দেবেন, তবে আমার মনে হয়, সবসময় এমন নয় যে একটা ম্যাচ বিনোদনদায়ক হওয়ার জন্য ২০টা ছক্কা লাগে। এটা ছাড়াও খেলায় অনেক কৌশল থাকে। অনেক দক্ষতা থাকে, সেটা ছক্কা হোক বা ফাস্ট বোলার বা স্পিনার, যেভাবেই হোক না কেন। তাই আমার মনে হয়েছে দারুণ একটা ম্যাচ ছিল। দিন শেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ ছিল, আরও একটা বা দুটো উইকেট পড়লে ছিল, পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। আমরা হয়তো আরেকটু সমস্যায় পড়তাম।”
দক্ষিণ আফ্রিকার পরের ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে, আগামী শনিবার। গ্রুপ পর্বে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও নেপাল।