Published : 16 Jun 2025, 03:46 PM
আইপিএলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী বৈভাব সুরিয়াভানশির দ্রুততম সেঞ্চুরির স্মৃতি এখনও তরতাজা। এর মধ্যেই জেলা ক্রিকেট লিগের ম্যাচে বিস্ফোরক ট্রিপল সেঞ্চুরি করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তার বিহারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আয়ান রাজ। ১৩৪ বলে ৩২৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন ১৩ বছর বয়সী এই কিশোর।
মুজাফফারপুরে অনুষ্ঠিত জেলা ক্রিকেট লিগে ৩০ ওভারের ম্যাচে সংস্কৃতি ক্রিকেট একাডেমির হয়ে ৪১ চার ও ২২ ছক্কায় ইনিংসটি খেলেছেন আয়ান। অর্থাৎ শুধু বাউন্ডারি থেকেই করেছেন ২৯৬ রান। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২২০.৮৯।
আয়ানের অনুপ্রেরণা সুরিয়াভানশি, যিনি কিশোর বয়সেই অর্জন করে ফেলেছেন তারকাখ্যাতি। তার পথে হাঁটতে চান আয়ানও।
“আমি যখনই বৈভাব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, তখনই আমার বিশেষ অনুভূতি হয়। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন একসঙ্গে খেলতাম। আজ, সে নিজের বড় নাম তৈরি করেছে। আমিও তার পথ অনুসরণ করছি।”
গত নভেম্বরে আইপিএলের মেগা নিলামেই ঝড় তোলেন সুরিয়াভানশি। তার ভিত্তি মূল্য ছিল ৩০ লাখ রুপি। দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলের ইতিহাসে নিলামে দল পাওয়া সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হয়ে যান তিনি।
আসরের প্রথম দিকে সুযোগ না পেলেও পরে খেলানো হয় তাকে। ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে মাঠে নেমে আইপিএলে অভিষিক্ত সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটারও হয়ে যান তিনি। সেই উপলক্ষ রাঙান তিনি প্রথম বলেই চোখধাঁধানো শটে ছক্কা মেরে! ওইদিন ইনিংস বড় করতে না পারলেও ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২০ বলে ৩৪ রান করে জানিয়ে দেন নিজের আগমনী বার্তা।
এক ম্যাচ পর রাজস্থানের বিস্ময় বালক তোলপাড় ফেলে দেন গোটা ক্রিকেট বিশ্বেই। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ১১ ছক্কায় ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি।
৩৫ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। আইপিএলে যা দ্বিতীয় দ্রুততম, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম। ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে ইনিংসটি খেলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো ক্রিকেটারের প্রথম সেঞ্চুরি এটি।
আইপিএলের পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও ডাক পেয়েছেন তিনি।
সুরিয়াভানশির বন্ধু আয়ানের বাবা ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার। তার বাবার স্বপ্ন ছিল দেশের প্রতিনিধিত্ব করা, শেষ পর্যন্ত যা পূরণ হয়নি। পরিবারের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে এখন আয়ান ছুটছেন একদিন ভারতের জার্সিতে খেলার স্বপ্নপূরণের পথে।