Published : 29 May 2025, 10:48 PM
মুশির খানকে বিশাল ছক্কায় ম্যাচের ইতি টেনে দিলেন রাজাত পাতিদার। ৪০ ওভারের ম্যাচ শেষ ২৪ ওভার এক বলেই! বোলারদের নৈপুণ্যে পাঞ্জাব কিংসকে অল্প রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ফিল সল্টের ঝড়ো ফিফটিতে আইপিএলের ফাইনালে উঠল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে বেঙ্গালুরুর জয় ৮ উইকেটে।
২০১৬ সালের পর প্রথম ও সব মিলিয়ে চতুর্থবার আইপিএলের ফাইনালে উঠল কখনও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা দলটি, একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে যে দলের হয়ে টুর্নামেন্টটির শুরু থেকে খেলছেন ভিরাট কোহলি।
মুল্যানপুরের নিউ পিসিএ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ১৪.১ ওভারে স্রেফ ১০১ রানে গুটিয়ে যায় পাঞ্জাব। সেই রান বেঙ্গালুরু পেরিয়ে যায় ১০ ওভারেই।
আইপিএলের প্লে-অফ বা নকআউটে রান তাড়ায় সবচেয়ে বেশি বল (৬০) হাতে রেখে জয় এটি। গতবারের ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ৫৭ বল বাকি রেখে জয় ছিল আগের রেকর্ড।
বেঙ্গালুরুর নায়ক সুইয়াশ শার্মা। ৩ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরার পুরস্কার জেতেন ২২ বছর বয়সী লেগ স্পিনার।
চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফিরে চমৎকার বোলিংয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন জশ হেইজেলউড। চোটে পড়ার আগেও বেঙ্গালুরুর হয়ে দারুণ বোলিং করেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার।
আসরে সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচে হেইজেলউডের উইকেট হলো দলের সর্বোচ্চ ২১টি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় পাঞ্জাব। হেইজেলউড, ইয়াশ দায়ালরা চমৎকার বোলিং যেমন করেন, তেমনি প্রিয়ান্শ আরিয়া, শ্রেয়াস আইয়ারদের আলগা শটেরও দায় কম ছিল না।
পাঞ্জাবের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল প্রাভসিমরান সিং (১৮)।
শাশাঙ্ক সিং ও মুশির খানও টিকতে পারেননি। এই দুজনকে একই ওভারে ফেরান সুইয়াশ। ভারতের টেস্ট ব্যাটসম্যান সারফারাজ খানের ভাই, মুশির ‘ইমপ্যাক্ট বদলি’ নেমে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে তিন বলে করেন শূন্য।
মার্কাস স্টয়নিসের ২টি করে চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান দলের সর্বোচ্চ ইনিংস। ১২ বলে ১৮ রান করে দলের স্কোর কোনোমতে একশতে নিয়ে যান আজমাতউল্লাহ ওমারজাই। হেইজেলডের বলে কিপার জিতেশ শার্মার চমৎকার ক্যাচে ওমারজাইয়ের বিদায়ে শেষ হয় পাঞ্জাবের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ ছন্দে থাকা কোহলি এবার ভালো করতে পারেননি। কাইল জেমিসনের বাড়তি বাউন্সে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ১২ বলে ১২ রানের ইনিংস।
চলতি আসরে রান তাড়ায় আগের ছয় ইনিংসের পাঁচটিতেই ফিফটি করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট।
তিনে নেমে ভালো করতে পারেননি মায়াঙ্ক আগারওয়ালও। তবে এক প্রান্তে ঝড় তুলে ওপেনার সল্ট ফিফটি করেন স্রেফ ২৩ বলে। ২৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংসে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
পাঞ্জাবের সুযোগ অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি। শ্রেয়াসের দল ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে আগামী রোববার, এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে সেদিন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লড়বে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাঞ্জাব কিংস: ১৪.১ ওভারে ১০১ (আরিয়া ৭, প্রাভসিমরান ১৮, শ্রেয়াস ৪, নেহাল ৮, স্টয়নিস ২৬, শাশাঙ্ক ৩, মুশির ০, ওমারজাই ১৮, ব্রার ৪, জেমিসন ০*; ভুবনেশ্বর ২-০-১৭-১, দায়াল ৪-০-২৬-২, হেইজেলউড ৩.১-০-২১-৩, সুইয়াশ ৩-০-১৭-৩, ক্রুনাল পান্ডিয়া ১-০-১০-০, শেফার্ড ১-০-৫-১)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১০ ওভারে ১০৬/২ (সল্ট ৫৬*, কোহলি ১২, মায়াঙ্ক ১৯, পাতিদার ১৫*; আর্শদিপ ২-০-২০-০, জেমিসন ৩-১-২৭-১, ওমারজাই ১-০-১০-০, ব্রার ২-০-১৮-০, মুশির ২-০-২৭-১)
ফল: বেঙ্গালুরু ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সুইয়াশ শার্মা