Published : 06 Jun 2025, 10:38 PM
প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানির কোনো অর্থ পাননি ওমানের ক্রিকেটাররা। উল্টো দল থেকে বাদ পড়ে এখন ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কায় কাশ্যাপ প্রজাপতি, ফায়াজ বাটরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে রেকর্ড ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজমানি দিয়েছে আইসিসি। চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ভারত পেয়েছে প্রায় সর্বোচ্চ ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
টুর্নামেন্টে ১৩ থেকে ২০ নম্বর দলের মধ্যে থাকায় ওমানকে দেওয়া হয় ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার। কিন্তু ১১ মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও প্রাইজমানির কোনো টাকা পাননি ওমানের ক্রিকেটাররা।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে স্কোয়াডের সদস্যের মধ্যে প্রাইজমানির অর্থ ভাগ করে দিতে হবে। যথাসময়ে আইসিসির কাছ থেকে টাকা পেলেও, ক্রিকেটারদের কিছুই দেয়নি ওমান ক্রিকেট।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দলের ওপেনার প্রজাপতি বলেছেন, টাকা না দিয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে তাদের।
“আমাদের জীবন সম্পূর্ণভাবে ওলট-পালট হয়ে গেছে; আমরা দলে জায়গা হারিয়েছি, চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।”
“এটা ভীষণ বিভ্রান্তিকর। আমরা বুঝতে পারছি না আইসিসি কেন আমাদের প্রাপ্য প্রাইজ মানি নিশ্চিত করতে পারছে না। আর কেনো এমন কোনো নিরাপদ জায়গা নেই যেখানে আমরা আমাদের সমস্যা তুলে ধরতে পারি?”
শুধু প্রজাপতি একাই নন, গত বছরের বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটারদের আর কেউই এখন ওমান দলে নেই। প্রজাপতি, ফায়াজসহ বেশ কয়েকজন ওমান ছেড়ে জীবিকার খোঁজে অন্য দেশে চলে গেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কানাডায় ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে স্কোয়াডের আরও দুজনকে নিয়ে প্রাইজমানির বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ডে আওয়াজ তোলেন প্রজাপতি। বিশ্বকাপে খেলা ১২ জন তখনও দলে ছিলেন।
কোনো সমাধান না পাওয়ায় ঘরের মাঠে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন ওমানের ক্রিকেটাররা। তাদের দাবি পূরণ না করে উল্টো নতুন ১৫ জনকে মাঠে নামানোর হুমকি দেয় বোর্ড।
তবু ক্রিকেটাররা খেলতে রাজি হননি। তাই প্রাথমিকভাবে ঘোষিত স্কোয়াডের মাত্র পাঁচজনকে রেখে বাকিসব নতুন ক্রিকেটার নিয়ে টুর্নামেন্টটি খেলে ওমান। এরপর থেকেই বোর্ডের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ক্রিকেটারদের। এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো সাড়া তারা পাননি।
ওমানের ক্রিকেটারদের সমস্যার সমাধান খুঁজছে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউসিএ)। আইসিসির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যে রাজস্ব ভাগ করে দেওয়া হয়, সেখান থেকে ক্রিকেটারদের পাওয়া বুঝিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।