Published : 08 Apr 2025, 02:17 PM
নেটে ব্যাটিং ঠিকঠাক হয়নি। বাড়তি কিছুটা সময় চেয়েও পাওয়া যায়নি। নিজের ওপরই রাগ উঠে গেল প্রচণ্ড। সব অনুভূতি পরিণত হলো অশ্রুতে! গল্পটি এমনই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম অনুশীলন সেশনে কান্না করে দেওয়ার চমকপ্রদ গল্প শোনালেন শ্রেয়াস আইয়ার।
শ্রেয়াস এখন ব্যস্ত আইপিএলে। ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দল পাওয়া ক্রিকেটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাঞ্জাব কিংসকে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির ডিজিটাল আয়োজন ‘ক্যান্ডিড উইথ কিংস’-এ তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, সবশেষ কবে কান্না করেছেন? ৩০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান জানালেন, খুব বেশি আগের স্মৃতি সেটি নয়।
“সবশেষ কান্না করেছি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়, প্রথম অনুশীলন সেশনে। মানে, আক্ষরিক অর্থেই কাঁদছিলাম আর কাঁদছিলাম। নেটে ব্যাট করে এসেছি তখন, কিন্তু সেশনটি ভালো হয়নি। নিজের ওপর এত রাগ হচ্ছিল যে, চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। নিজেও চমকে গিয়েছিলাম, কারণ খুব সহজে আমি কাঁদি না।”
নেট অনুশীলন ভালো না হওয়ায় কান্না করার ব্যাপারটি চমকে যাওয়ার মতোই। সেখানে প্রেক্ষাপটও কিছুটা তুলে ধরলেন শ্রেয়াস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে তার রান ছিল ৩৬ বলে ৫৯, ৪৭ বলে ৪৪ ও ৬৪ বলে ৭৮।
ভারতের ব্যাটিং স্বর্গ থেকে দুবাইয়ে গিয়ে চ্যালেঞ্জিং উইকেটে মানিয়ে নিতে শুরুতে ভুগতে হয় তাকে।
“ইংল্যান্ড সিরিজে আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল। ভেবেছিলাম এই ছন্দ বয়ে নিতে থাকব। কিন্তু ওখানে উইকেট ছিল ভিন্ন এবং প্রথম দিনে মানিয়ে নেওয়াটা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। অনুশীলন শেষ হওয়ার পর আরেকটু বাড়তি ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সুযোগটি পাইনি। তাই প্রচণ্ড রাগ হচ্ছিল।”
“পরের দিন নেটে গিয়ে নিজেকে বলেছি ‘আমি ভালো করব।’ এটা গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে আমরা যা মেলে ধরি, এর চেয়ে আড়ালের কাজগুলি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মাঠের বাইরে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী থাকলে মাঠেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভালো করার প্রেরণা মেলে।”
পরের গল্পটাও সবারই জানা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনিই। ৪৮.৬০ গড়ে করেছিলেন ২৪৩ রান, টুর্নামেন্টের যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ভারতের সর্বোচ্চ।