আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ
Published : 03 Jun 2025, 05:06 PM
বাংলাদেশের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের নায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের সামনে দারুণ এক স্বীকৃতির হাতছানি। আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। মে মাসের সেরার লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্কটল্যান্ডের ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলান ও যুক্তরাষ্ট্রের মিলিন্দ কুমার।
গত মাসের সেরার লড়াইয়ে জায়গা পাওয়া পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে আইসিসি।
মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লোয়ি টাইরন ও ভারতের জেমিমাহ রদ্রিগেস।
মোহাম্মদ ওয়াসিম
শারজাহতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেন ওয়াসিম। প্রথম ম্যাচে ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৯ বলে ৫৪ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। ম্যাচটি যদিও জিততে পারেনি তারা।
দ্বিতীয় ম্যাচে ফের হাসে ওয়াসিমের ব্যাট। এবার ৫ ছক্কা ও ৯ চারে ৪২ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জেতান তিনি। ২০৬ রানের লক্ষ্যে ২ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে যায় আমিরাত। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সেটাই তাদের প্রথম জয়। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন ওয়াসিম।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কেবল ৯ রান করেন ওয়াসিম। তবে আলিশান শারাফুর ফিফটিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে আমিরাত। সিরিজ সেরার পুরস্কার ওঠে ওয়াসিমের হাতে।
শুধু বাংলাদেশ সিরিজই নয়, গত মাসে ওয়াসিম উজ্জ্বল ছিলেন আইসিসি বিশ্বকাপ লিগ টু-তেও। ৫০ ওভারের সংস্করণে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৬১, ৪১ ও ৬১ রান করেছিলেন তিনি।
২০২৪ সালে এপ্রিলের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ওয়াসিম। ফের সম্মাননাটি পাওয়ার সুযোগ তার সামনে।
ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলান
মে মাসে আইসিসি বিশ্বকাপ লিগ টু-তে আলো ছড়িয়ে সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন স্কটল্যান্ডের ম্যাকমুলান। পাঁচ ওয়ানডেতে ২৩৩ রান করে মাস শেষ করেছেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ১০৭.৮৭ ও গড় ৫৮.২৫। পেস বোলিংয়ে ওভারপ্রতি ৫.০৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট।
আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ফিফটি করেছেন ২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। নিজের সেরাটা মেলে ধরেন তিনি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে স্কটল্যান্ডকে ওয়ানডেতে রেকর্ড ৩৮০ রানের পুঁজি এনে দেন তিনি। পরে বল হাতে ৫৫ রান খরচায় ধরেন ৪ শিকার।
মিলিন্দ কুমার
গত মাসে চারটি ওয়ানডে খেলে ৬৭ গড়ে ২০১ রান করেছেন মিলিন্দ। মাস জুড়ে বল হাতেও দ্যুতিময় ছিলেন তিনি, অফস্পিনে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
আইসিসি বিশ্বকাপ লিগ টু-তে ওমানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন মিলিন্দ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই ওয়ানডেতে ফিফটি (৬৮) ও পাঁচ উইকেটের (৫/৬৬) কীর্তি গড়েন তিনি।
মাসের মাঝামাঝিতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন মিলিন্দ। কানাডার বিপক্ষে খেলেন ১১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস।
হেইলি ম্যাথিউস
গত মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দল হোয়াইটওয়াশ হলেও দুর্দান্ত ছিলেন ম্যাথিউস। তিন ম্যাচে একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ১৭৭ রান করেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ১৩৭.২০ ও গড় ৮৮.৫০। ২৭ বছর বয়সী ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার তিনটি উইকেট নেন। সিরিজ-সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।
মাসের শেষ দিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪৮ রান করার পাশাপাশি ২ উইকেট নেন ম্যাথিউস।
তিনবার আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ হওয়া ম্যাথিউসের সামনে আরেকবার এই পুরস্কার জয়ের হাতছানি।
ক্লোয়ি টাইরন
শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে প্রাথমিক পর্বের শেষ তিন ম্যাচে ১৩১.৩৪ স্ট্রাইক রেটে ১৭৬ রান করেন টাইরন। বাঁহাতি স্পিনে ৬ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার।
ভারতের বিপক্ষে ৬৭ রান করেন তিনি। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ ও ৭৪ রান। লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩৪ রানে ৫ শিকার ধরেন টাইরন।
জেমিমাহ রদ্রিগেস
ভারতের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পথে বড় অবদান রাখেন জেমিমাহ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে ৪৪ রান করেন তিনি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি ৯৭ রানে জেতে ভারত।
প্রাথমিক পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ রান করা জেমিমাহ দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে উপহার দেন চমৎকার এক সেঞ্চুরি। ১ ছক্কা ও ১৫ চারে ১০১ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
গত মাসে খেলা তিন ওয়ানডেতে তার রান ২০৪।