Published : 11 Aug 2024, 10:13 PM
জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার একটি বিল ছাড় করানোর চেষ্টার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক হিসাব রক্ষকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
রোববার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মুহাম্মদ ফুরকান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মুন্সী ফররুখ হোসাইন মিন্টু, তার ভাই মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন ও আহমেদ এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী মুকিত মন্ডলকে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভুয়া মঞ্জুরি ব্যয় সৃষ্টির মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ টাকা বিল ছাড় করানোর চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/ ৪৭১/১০৯/৫১১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ সালে ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ শয্যাসহ অন্যান্য সামগ্রীর ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহ করে আহম্মদ এন্টারপ্রাইজ। যন্ত্রপাতির ত্রুটি থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেগুলো গ্রহণ করেনি।
মালামাল ত্রুটি ও টেন্ডার-সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে এ ঘটনায় দুদকে একটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে কর্মকর্তা সেটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি বিচারাধীন থাকায় বিল পরিশোধ করা হয়নি।
এদিকে ২০২২ সালের জুনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জেনারেল হাসপাতালের হিসাব রক্ষক ফোরকান পরষ্পর যোগসাজসে ভুয়া মঞ্জুরি ব্যয় তৈরি করে সিভিল সার্জনের একক স্বাক্ষরে বিল তৈরি করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠান।
বিলের ত্রুটি দেখে সেটি ছাড় না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয় হিসাব রক্ষণ কার্যালয় থেকে।
এই ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছাড় করানোর চেষ্টায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/ ৪৭১/১০৯/৫১১ ধারায় মামলাটি করা হয়।
২০২২ সালের জুনে ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় চট্টগ্রামে। এই বিল জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় ফোরকানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেন জেনারেল হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
পরে ফোরকানকে চট্টগ্রাম থেকে মুন্সীগঞ্জে বদলি করা হয়।