Published : 06 Apr 2025, 05:32 PM
দুর্ঘটনাপ্রবণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করার দাবিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি এবং মানববন্ধন করেছে একটি সংগঠন।
রোববার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামানের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এর আগে একই দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয়লেন বাস্তবায়ন পরিষদ’।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যটন নগরী কক্সবাজার এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবান যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এই সড়ক ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য রসদ নেওয়া হয়। একটি সরু সড়কে এত চাপের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
“আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার টানেলের মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি প্রশস্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা অতিদ্রুত সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।”
মানববন্ধনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও লোহাগাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, “দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির কারণে সড়কের কালো বিটুমিন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। একেকটি দুর্ঘটনায় কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয় সড়কটি প্রশস্ত করার। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
“এবার দুই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানির পর চুনতির জাঙ্গালিয়ায় সড়কের ওপর স্পিডব্রেকার এবং দুই ইট বসিয়ে দায় সারছে কর্তৃপক্ষ। আমরা লোক দেখানো এমন কাজ দেখতে চাই না। বাস্তবিক অর্থে সড়কটিকে ছয় লেন দেখতে চাই। এজন্য কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না করে দ্রুত কাজ দেখতে চাই।”
মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার ঘোষণা দেয়া হয়। এসময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহাইবের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান সাঈদী, সাংবাদিক তৌহিদুল আলম, ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান, সাংবাদিক মুজিবুল হক, শফিকুল আলম, গনতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ইমন মোহাম্মদ প্রমুখ।
ঈদের দিন সকালে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজলার চুনতি জাঙ্গালিয়া নামক স্থানে দুই বাসের মুখামুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়।
এর দুইদিন পরে বুধবার সকালে একইস্থানে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত জন ১১ জন।
শুধু লোহাগাড়া নয় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দুই লেনের সরু রাস্তা এবং বাঁকের কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে।