Published : 19 Jun 2025, 10:58 PM
চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য চালক ও সহকারীর দায় দেখছে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি।
ট্রেন চালকের সংকেত না মানা এবং ওই স্থানে নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে ট্রেন চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্ত কমিটি ‘মনে করছে’।
বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
কোরবানির ঈদের দুইদিন আগে ৫ জুন রাতে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে কক্সবাজার থেকে ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনকে। এ ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিহত হন।
এ ঘটনার পর পূর্ব রেলের বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা (ডিটিও) আনিসুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ট্রেনের চালক, সহকারী চালকসহ চারজনকে।
পূর্ব রেলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তারা দুর্ঘটনার কারণ সুনির্দিষ্ট করার সাথে এ ধরণের দুর্ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশও করেছে।
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবেদনটি এখনো পুরোপুরি দেখিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরবর্তী করণীয় গ্রহণ করবো।”
তবে কামরুজ্জামান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে চাননি।
তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনায় পর্যটক এক্সপ্রেস এর চালক ও সহকারী চালকের দায় এড়াতে পারেন না।
“সেতুর দুই প্রান্তে ওঠার সময় ধীরগতিতে সংকেত মেনে ওঠার কথা। কিন্তু ট্রেন চালক সেটি মানেনি বলে আমাদের তদন্তে মনে হয়েছে।”
কমিটি এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ১০টি সুপারিশ করেছে, বলেন সে কর্মকর্তা।
পুরনো খবর:
কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন উঠেছিল সিগন্যাল না মেনে, মৃত্যু বেড়ে ২