Published : 07 Jun 2025, 05:03 PM
চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ কোরবানি পশুবর্জ্য দুপুর দেড়টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে নগরীর পুরাতন বিমান অফিস এলাকায় বর্জ্য অপসারণের কাজ পরিদর্শনের সময় তিনি এ দাবি করেন।
শাহাদাত বলেন, “সকাল থেকে বাকলিয়া, চকবাজার, লালখান বাজার, কাপাসগোলা, দামপাড়াসহ অনেক জায়গায় আমি ঘুরেছি। ১১টার মধ্যে অনেক জায়গায় ক্লিন হয়ে গেছে।
“আবার যখন ঘুরে আসছিলাম দেড়টার দিকে বেশিরভাগ জায়গায় কিন্তু ক্লিন করে ফেলেছে। আশা করছি ৫টার মধ্যে ক্লিন করতে পারব। যারা কোরবানি দিয়েছেন, তারাও সবাই চট্টগ্রাম শহরকে সুন্দর রাখার জন্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়েছেন।”
শনিবার বেলা ১২টার পর নগরীর দুই নম্বর গেইট, আতুরার ডিপো, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও আশপাশের ডাস্টবিন থেকে আবর্জনা সরিয়ে নিচ্ছেন। তবে কিছু অলিগলিতে তখনও বর্জ্য জমে ছিল।
গত ২ জুন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সঙ্গে এক সভায় মেয়র কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিকাল ৫টা সময় বেঁধে দেন।
ঈদের দিন সকাল থেকেই পরিচ্ছন্নতা অভিযান তদারকিতে মাঠে থাকেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নগরবাসী ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের আবর্জনা অপসারণ, রক্ত ধুয়ে দেওয়া এবং ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।
ঈদের দিন ৮ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে নগর সংস্থার প্রায় ৪ হাজার ২০০ কর্মী মাঠে আছেন। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ৩৬৯টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে।
এছাড়া বর্জ্য অপসারণের জন্য ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে-লোডার কাজ করছে। বাউজার থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে রক্ত পরিষ্কার করার জন্য।
পাশাপাশি দামপাড়ায় নগর সংস্থার একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা আছে, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হচ্ছে। দুটি হটলাইন নম্বর ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে পারবে কন্ট্রোল রুমে।
শনিবার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন নগর সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা।