Published : 16 Jun 2025, 09:01 PM
চলতি অর্থবছর শেষ হতে এখনো বাকি ১৫ দিন; তবে ডলার সংকট, এলসি জটিলতা, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং আগের অর্থবছরের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে।
দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দরে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৫ জুন পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং (ওঠানো-নামানো) হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৯ টিইইউএস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনারের একক হিসাবে)।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউএস।
অর্থাৎ চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার ১৫ দিন বাকি থাকতেই আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩ হাজার ৮৯ টিইইউএস বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউএস হ্যান্ডলিং হয়েছিল।
চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, দুই ঈদের দীর্ঘ ছুটি, কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলমবিরতি, পরিবহন ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কারণে বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দুই মাসের মতো বাধাগ্রস্ত হলেও গত অর্থবছরের চেয়ে এবারে বেশি সংখ্যক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা গেছে।
এ ধারাবাহিকতা থাকলে চলতি অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৩৩ লাখ টিইইউএস হতে পারে বলে ধারণা বন্দর কর্তৃপক্ষের।
অটোমেশন সার্ভিস সুবিধা, ই-গেইট পাস চালু, কন্টেইনার অপারেটিং সিস্টেম আধুনিকায়নসহ বন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে এ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে বন্দরের এই কর্মকর্তা মনে করছেন।
এছাড়া বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দ্রুত পণ্য খালাসসহ নানামুখী সহযোগিতার কারণে এ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিভিন্ন সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা চলতি অর্থবছরের ১৫ জুনের মধ্যে গত বছরের চেয়ে বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছি। এ বছর শেষ হতে আরও ১৫ দিন রয়েছে। এ সময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড হবে বলে আশা করছি।”
তিনি বলেন, “অতীতের প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে যে পর্যায়ে এসেছে সেটা শ্রমিক-কর্মচারী-বন্দর ব্যবহারকারীসহ সকলের সহযোগিতার ফল। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করি।”
পুরনো খবর:
কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অতীতের রেকর্ড ছাড়াল চট্টগ্রাম বন্দর