Published : 19 Jun 2025, 07:58 PM
ব্যাংক খাত সংস্কার, জলবায়ু সহনশীলতা, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বায়ুমান উন্নত করতে বাংলাদেশকে ১৫৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্ব ব্যাংক।
এর মধ্যে ব্যাংক খাত সংস্কারে ৫০ কোটি এবং জলবায়ু সহনশীলতা ও অন্তর্বর্তীমূলক উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে এডিবি।
অপর দিকে জ্বালানি খাতে ৩৫ কোটি ও বায়ুমান উন্নয়নে ২৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবির সদর দপ্তরে সংস্থার পর্ষদ সভায় ঋণ সহায়তা অনুমোদন করা হয়েছে।
এদিন অপর উন্নয়ন সহযোগী বিশ্ব ব্যাংকও দুটি প্রকল্পে ৬৪ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পর্ষদ সভায়।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য সংস্থা যে ৫০ কোটি ডলার দেবে তা খরচ করা হবে ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য। বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের দুর্বল সম্পদ গুণমান, তারল্য সংকট ও সীমিত আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে যে বাধা রয়েছে তা দূর করতে এই কর্মসূচি সাহায্য করবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
জলবায়ু সহনশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়ন সহজতর করা, বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারত্ব গঠন, দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়নের কৌশল প্রণয়নে ঋণের অর্থ খরচ করা হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুটি প্রকল্পের মধ্যে ৩৫ কোটি ডলার দেওয়া হবে ‘এনার্জি সেক্টর সিকিউরিটি এনহ্যান্সমেন্ট’ প্রকল্পে। অর্থ ঘাটতিতে ধুকতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনকে (পেট্রোবাংলা) সহজে অর্থায়নের ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং এর মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই প্রকল্পটি।
এই প্রকল্পটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য আগামী সাত বছরের মধ্যে ২১ কোটি ডলার পর্যন্ত ব্যক্তিমালিকানাধীন মূলধনের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে আইডিএ গ্যারান্টি হিসেবে ব্যবহার করবে।
আইডিএ হল-ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন; যার আওতায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ঋণগুলোর সময় বাড়ানোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
অপর প্রকল্পটি হল ২৯ কোটি ডলারের ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার’ প্রকল্প। বিশ্ব ব্যাংকের এই প্রকল্পে পরিবেশ অধিদপ্তরের নতুন এবং উন্নতমানের স্টেশন স্থাপন করা হবে এবং এর মাধ্যমে বায়ুর মান নিয়ন্ত্রণ করা হবে আরও ভালোভাবে। এছাড়া বায়ু দূষণের উৎসগুলোর ওপরেও নজর রাখা হবে।
প্রকল্পটির আওতায় ৪০০টি বাস চালু করা হবে যেগুলো থেকে কোনো দূষণ তৈরি হবে না। এছাড়া শহরের অন্যান্য যানবাহন থেকে কী পরিমাণ দূষণ হচ্ছে তা পরিমাপের জন্য ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষা কেন্দ্র এবং পরীক্ষার জন্য বিশেষ কিট দেওয়া হবে।
এতে প্রতি বছরে বায়ুতে ২ হাজার ৭৩৪ টন পরিমাণ পিএম২.৫ দূষণ কমিয়ে আনা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।