Published : 20 Nov 2022, 09:58 AM
অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক রচনা ও নির্দেশনার মধ্য দিয়ে মাসুম আজিজ কীভাবে দেশের সংস্কৃতিচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, সে কথা উঠে এল এক স্মরণ সভায়।
নাট্যাঙ্গনের সহকর্মীরা সংগীতে মাসুম আজিজের পারদর্শিতার কথাও বললেন। বিশেষ করে তার কণ্ঠে ভূপেন হাজারিকার গান অনেকের মনেই দাগ কেটে আছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সদ্য প্রয়াত একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী মাসুম আজিজের স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা পদাতিক।
গত ১৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুম আজিজ। বেশ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে তার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর বাসা আর হাসপাতালেই কেটেছে মাসুমের দিন।
নাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেন, "মাসুম আজিজ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি সফল হতে পারেনি। তবে শিল্পী হিসেবে সে সফল হয়েছে। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছে।"
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, "মাসুম আজিজের মনোবল ছিল দৃঢ়। অসুস্থতার সময়ও নতুন নাটক নিয়ে ভাবতেন। আমরা উনাকে সান্ত্বনা দিতে গেছি। উনি উলটো আমাদের নতুন নাটকের স্বপ্নের কথা শুনিয়েছেন।"
১৯৫২ সালে পাবনায় মাসুম আজিজের জন্ম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি থিয়েটারে সক্রিয় হন। প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন ১৯৮৫ সালে। ‘ঘানি’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গহীনে শব্দ’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
মঞ্চে মাসুম আজিজের রচনা ও নির্দেশনায় সবশেষে নাটক ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’। অভিনয়ে অবদানের জন্য ২০২২ সালে একুশে পদক পান মাসুম আজিজ। ‘ঘানি’ সিনেমায় শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতা হিসাবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
স্মরণানুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাট্য-নির্দেশক অধ্যাপক সৈয়দ জামিন আহমেদ, মাসুম আজিজের বড় ভাই সামসুজ্জামান হীরা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অভিনয়শিল্পী ঝুনা চৌধুরী, অভিনেতা ও নির্দেশক নাদের চৌধুরী, পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ গিয়াস ও মাসুম আজিজের স্ত্রী অভিনয়শিল্পী সাবিহা জামান। স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা পদাতিক এর সভাপতি নাট্যজন মিজানুর রহমান।