Published : 08 May 2025, 10:47 AM
ঢাকা
ঊর্মি থাকে কুর্মিটোলা
হাতিরঝিলে ঝিল্লি
শ্যামলিতে শ্যামলিমা
টিকাটুলিতে বিল্লি।
ধানমন্ডিতে ধান নাই
হাতিরপুলে হাতি
বনশ্রীর শ্রী গেল কই
হে ব-নানীর নাতি!
সিদ্ধিরগঞ্জের সিদ্ধি ভালো
কেরানীগঞ্জের কেরানি
আখড়ায় বসে শনির কথা
বললে দেবো দৌড়ানি।
গুলিস্তানে ছুটলে গুলি
গুলশান হবে খান খান
শাহবাগের মাস্তান তুই
আমার হাতে কলাবাগান।
মনে রাখিস, আমার বাস
মিরপুর থেকে বাড্ডায়
খিলগাঁ ছেড়ে নড়লে কিন্তু
লুকিয়ে রাখব গাড্ডায়।
হাতিরঝিল
একটি পাখি, দুটি পাখি
তিনটি পাখি মিলে
ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে এলো
সবুজ হাতিরঝিলে।
গাছের পাশে লাল সূর্য
ঝিলে চড়ছে হাতি
মাছ ধরার জাল নিয়ে
চলছে বুড়ো-নাতি।
মাছ তো নয়, যেন সব
বিশাল আকার হাঙর
দিনদুপুরে বেড়ায় ঘুরে
ঝিলের তলের বন্দর।
বিক্রমপুর
যাওয়ার ছলে আমরা হঠাৎ চলে গেলাম বিক্রমপুরে
ব্যস্ত নামক মানুষ আর রুগ্নদিনের শহর থেকে দূরে।
লোকাল বাসের জানলা যেন এক আকাশের নীল
ভরে দিয়েছে চোখের ভেতর উড়ন্ত এক চিল।
সবুজেরা সাঁই-সাইঁ-সাঁই পালিয়ে যাচ্ছে সরে
দাঁড়াও পদ্মা আরেকটু পথ নৌকা নিয়ে তীরে।
আমরা বসবো তোমার পাড়ে নৌকা যেথায় বাঁধা
অলস দুপুর, ঝাঁ-ঝাঁ রোদে লাগবে মনে ধাঁধা।
তবু বাজবে এক বিষণ্ন সুর বুড়ো বাঁশির টানে
সন্ধ্যা নামলে উথাল হবো বেসুরো কোনো গানে।
নৌকার গলুই থাকবো শুয়ে, পদ্মা দেবে হাওয়া
দূর থেকে চেঁচিয়ে যাবে ব্যস্ত ঘাটের মাওয়া।
পড়তে বসে
সেদিন রাতে কী যে হলো!
হঠাৎ দেখি
বইয়ের সব কালো অক্ষর
হয়ে গেলো পাখি
ডানা ঝাপটে বসলো তারা
আতা গাছের ডালে
পাতায় রাঙা সবুজ
পাখি ডাকলো হেসে,
‘খেলতে আসো’
আমিও গেলাম
যেই না সবে লাফ
দিয়েছি ওপর থেকে নিচে
অমনি দেখি ভাসছি আমি
হাত দুটোকে মেলে।